চিৎকার শুনে ঘুম ভাঙে ছেলের, দেখেন, মেঝেতে ছটফট করছেন রক্তাক্ত মা
চিৎকার শুনে ঘুম ভাঙে ছেলের। ঘরের দরজা খুলতেই দেখেন এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর মা ছটফট করছেন মেঝেতে। আহত মাকে নিয়ে ছোটেন হাসপাতালে। সেখানে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় মায়ের। আজ বুধবার ভোররাতে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় ঘটেছে এমন ঘটনা।
নিহত নারীর নাম তাহেরা বেগম (৫৭)। তিনি উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের খিলপাড়া গ্রামের মুন্সিবাড়ির আবদুল মতিনের স্ত্রী। অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্তরা ঘরের ভেতর ঢুকে তাঁকে ছুরিকাঘাত করে। এরপর তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভোররাতের দিকে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তে ঘুম থেকে ওঠেন তাহেরা বেগম (৫৭)। তিনি রান্নাঘরের দিকে যেতেই অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্ত তাঁর সামনে পড়ে। এ সময় তাঁর গলায়, পেটে ও হাতে ছুরিকাঘাত করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় মা চিৎকার করে ছেলে মো. তারেককে ডাকাডাকি করেন। এরপর ছেলে ঘুম থেকে উঠে দেখেন মা রক্তাক্ত অবস্থায় ছটফট করছেন। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাহেরা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে আজ সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দিন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, তাহেরা বেগম, তাঁর ছেলে ও পুত্রবধূ বাড়িতে থাকতেন। ছেলে ও তাঁর স্ত্রী এক ঘরে দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে ছিলেন। পরিবারের সদস্য ও ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করে ধারণা করা হচ্ছে, রান্নাঘরের এগজস্ট ফ্যান খুলে ঘরে কেউ ঢুকেছিলেন। হঠাৎ তাহেরা বেগম সামনে পড়ায় ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে গেছেন। ওসি ফিরোজ উদ্দিন আরও বলেন, ‘হত্যাকারী কে হতে পারে, সে বিষয়ে পরিবারের সদস্যরা কোনো তথ্য দিতে পারেননি। বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’