হাতীবান্ধা থানা অবরুদ্ধ, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাসহ গ্রেপ্তার ২

লালমনিরহাট জেলার মানচিত্র

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানা–পুলিশকে অবরুদ্ধ ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে করা মামলার প্রধান আসামি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাহ নূরনবী কাজলসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ শনিবার সকালে উপজেলার পূর্ব বিছনদই (ঘন্টিবাজার) গ্রাম থেকে শাহ নূরনবীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে শুক্রবার রাতে এই মামলায় মাহফুজার রহমান (বিপ্লব) নামের আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার শাহ নূরনবীর (৪০) বাড়ি উপজেলার পশ্চিম বেজগ্রাম এলাকায়। আর মাহফুজারের বাড়ি একই উপজেলার পূর্ব সিন্দুর্না গ্রামে।

প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানায় হামলা ও ভাঙচুরের সময় পাশের হাতীবান্ধা থানা বিএনপির নেতা-কর্মীরা অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের অভিযোগ, হাতীবান্ধা থানা থেকে পুলিশ সদস্যরা যাতে পাটগ্রামে উদ্ধার করতে যেতে না পারেন, সে জন্য তাঁদের অবরুদ্ধ করা হয়।

এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার মামলা করে হাতীবান্ধা থানা-পুলিশ। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, যুবদল ও ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত বুধবার রাতে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানায় হামলা চালিয়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ সুপারের নির্দেশে পাটগ্রাম থানার পুলিশকে উদ্ধারে বের হয় হাতীবান্ধা থানার পুলিশ। এ সময় পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শাহ নূরনবী কাজল, মো. ইউনুস আলী খন্দকারসহ এজাহারভুক্ত আসামিরা।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন নবী বলেন, গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তিকে আদালতের মাধ্যমে লালমনিরহাট কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

এদিকে গ্রেপ্তার শাহ নূরনবীকে স্বেচ্ছাসেবক দলের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। লালমনিরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. আবদুস ছাত্তার ও সদস্য সচিব মো. মিঠুন সরকার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।