‘দুধ বিক্রি করে সংসার চলত, এখন আমার কী হবে?’

গরু চুরির শোক কাটিয়ে উঠতে পারছেন না কৃষক বিল্লাল হোসেন। আজ রোববার বেলা ১১টায় টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার প্রতিমা বংকী গ্রামে তাঁর শূন্য গোয়ালঘরেছবি: প্রথম আলো

তিন বছর আগে পাঁচটি গরু চুরি হওয়ার পর সেই শোক কাটিয়ে উঠতে পেরেছিলেন কৃষক বিল্লাল হোসেন (৬৫)। আবার শুরু করেছিলেন গরু লালনপালন। দুধ বেচে চলত তাঁর সংসার। তবে গতকাল শনিবার রাতে তাঁর বাড়ির গোয়ালঘর থেকে একটি গাভিসহ তিনটি গরু চুরি হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দারিয়াপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতিমা বংকী গ্রামে। চুরি হওয়া তিনটি গরুর মূল্য আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকা। এর তিন বছর আগে একই গোয়ালঘর থেকে তাঁর পাঁচটি গরু চুরি হয়েছিল।

আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে বিল্লাল হোসেনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, গোয়ালঘরে বসে মাথায় হাত দিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছেন তিনি। তাঁর চোখে এখন শুধু হতাশা। শোয়ার ঘরের সামনে তাঁর স্ত্রী বাছাতন বেগমও কাঁদছেন।

বিল্লাল হোসেনের ছোট ভাই আবদুল হাই বলেন, ‘গরু হারায়ে ভাই আমাদের সঙ্গে কথা বলছে না। শুধু কাঁদছে। তিন বছর আগে চোরেরা গোয়াল শূন্য করে গিয়েছিল। আবার তারা গোয়াল শূন্য করে দিল।’

বিল্লাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘গাভিটা প্রতিদিন ৬ লিটার দুধ দিত। দুধ বিক্রি করে সংসার চলত, এখন আমার কী হবে? আমার সংসার চলবে কীভাবে?’

প্রতিমা বংকী গ্রামের কৃষক লাল মিয়া বলেন, ‘আমারও তিন বছর আগে পাঁচটা গরু চুরি হইছিল। চুরি হওয়ার ভয়ে আমি আর গরু রাখি না।’

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম ভূইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘গরু চুরির বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’