মির্জাগঞ্জে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ৪
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণায় গিয়ে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে ৪ জন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের কলাগাছিয়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের পর রাতেই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মো. জহিরুল ইসলামকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল হাই। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে ১৫টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিরা হলেন মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. সরোয়ার হোসেন, মো. রতন গোলদার, সোহাগ মৃধা ও আদনান হোসেন। আহত ব্যক্তিদের মির্জাগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত মো. সরোয়ার হোসেনকে আজ সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল রাত ১০টার দিকে কলাগাছিয়া বাজারে প্রচার-প্রচারণা চালানোর সময় কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী খান মো. আবু বকর সিদ্দিকীর সমর্থকদের সঙ্গে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মো. জহিরুল ইসলামের সমর্থকদের বাগ্বিতণ্ডা থেকে সংঘর্ষ বাধে। তখন প্রতিপক্ষের হামলায় ওই চারজন আহত হন।
কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী মো. আবু বকর সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার উঠান বৈঠক শেষে বাড়ি ফেরার পথে লোটাস খান নামের আমার এক কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। খবর পেয়ে আমি ও আমার কয়েকজন সমর্থক আহত কর্মীকে দেখার জন্য তাঁর বাড়িতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু পথে আমাদের ওপর হামলা করে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মো. জহিরুল ইসলাম ও তাঁর লোকজন। এতে আমার চার কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মো. জহিরুল ইসলামের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তিনি সাড়া দেননি।
মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ তিনি পাননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।