কাপ্তাই হ্রদে ১১ দিনে ৮৭০ মেট্রিক টন মাছ আহরণ

কাপ্তাই হ্রদের মাছ
ফাইল ছবি

রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে গত ১১ দিনে ৮৭০ মেট্রিক টন মাছ আহরণ করা হয়েছে। এসব মাছের রাজস্ব আয় হয়েছে ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। তবে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেশি হওয়ায় গত বছরের তুলনায় কম মাছ ধরা পড়ছে। এভাবে হ্রদের পানি বাড়তে থাকলে সারা বছর মাছ পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি)।

বিএফডিসি সূত্রে জানা গেছে, কাপ্তাই হ্রদে প্রজনন মৌসুমে প্রতিবছর তিন মাস মাছ শিকার, বিপণন, পরিবহন ও সংরক্ষণের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় গত বছরের ২০ এপ্রিল থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত তিন মাসের জন্য জেলা প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কিন্তু যথাসময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় কাপ্তাই হ্রদে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় আরও দুই দফা মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয়। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ায় ১ সেপ্টেম্বর থেকে হ্রদ মাছ ধরার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ১২ দিন ধরে টানা মাছ ধরা হচ্ছে। তবে আজ মঙ্গলবারের হিসাব পাওয়া যায়নি। কাপ্তাই হ্রদে শুধু নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন ২৬ হাজারের বেশি। এ ছাড়া শখের বশে ও অপেশাদার কয়েক হাজার ব্যক্তি মাছ ধরেন বলে জানা গেছে।

প্রথম দিনে বেশি মাছ ধরা পড়েছে। পরে পরিমাণ কমে গেছে।

বিএফডিসি জানায়, ১ সেপ্টেম্বর প্রথম দিনে ১২৪ মেট্রিক টন মাছ জেলেদের জালে আটকা পড়ে। এতে এক দিনে ২৫ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়। পরবর্তী দিনগুলোতে জেলেদের জালে মাছ কিছুটা কম ধরা পড়েছে। গত ১১ দিনে ৮৭০ মেট্রিক টন মাছ ধরা পড়েছে। তবে ৮০ শতাংশ ছোট মাছ ধরা পড়েছে। বাকি ২০ শতাংশ কার্পজাতীয় মাছ। প্রতি কেজি ছোট মাছ থেকে ২০ টাকা ও বড় মাছ থেকে ৪২ টাকা করে রাজস্ব আদায় করা হয় বলে জানা গেছে। বাজারে বড় মাছগুলো ৩০০ থেকে ১ হাজার টাকা এবং ছোট মাছগুলো ১০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়। গত বছর কাপ্তাই হ্রদ থেকে ৬ হাজার ৫২৩ মেট্রিক টন মাছ আহরণ করা হয়েছে। এসব মাছ থেকে ১১ কোটি ৬৮ লাখ ৭৯ হাজার টাকা রাজস্ব আয় হয়।

রাঙামাটি জেলা মৎস্য সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক উদয়ন বড়ুয়া বলেন, প্রথম দিনে বেশি মাছ ধরা পড়েছে। পরে পরিমাণ কমে গেছে। সারা দেশে কাপ্তাই হ্রদের মাছের বেশ চাহিদা রয়েছে।

বিএফডিসি রাঙামাটির ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, কাপ্তাই হ্রদে এখন পানি পরিপূর্ণ। সে জন্য জেলেদের জালে মাছ কম আটকা পড়ছে। তবে মাছ বেশি ধরা না পড়ার ভালো দিকও রয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় মাছ বড় হবে। সারা বছর মাছ পাওয়া যাবে। মৌসুম শেষে জেলেরা বেশি মাছ পাবেন।