অবরোধে হেলমেট পরে ট্রেন চালাচ্ছেন চালকেরা

বিএনপির ডাকা অবরোধের মধ্যে হেলমেট পরে ট্রেন চালাচ্ছেন চালক। বুধবার বিকেলে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া জংশন রেলস্টেশনে
ছবি: প্রথম আলো

নিরাপত্তার স্বার্থে সাধারণত মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহীরা হেলমেট পরে থাকেন। কিন্তু বিএনপির ডাকা অবরোধ কর্মসূচির মধ্যে ট্রেনের চালকেরাও হেলমেট পরে ট্রেন চালাচ্ছেন। আজ বুধবার মৌলভীবাজারের কুলাউড়া জংশন রেলস্টেশনের বিভিন্ন ট্রেনে এ দৃশ্য দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, অবরোধে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় রেলস্টেশনে যাত্রীদের ভিড় লেগে আছে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তনগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ও সিলেটগামী আন্তনগর পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেন কুলাউড়ায় পৌঁছায়। দুটি ট্রেনের চালক ও সহকারী চালকেরা হেলমেট পরে আছেন। যাত্রাবিরতিতে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে দুটি ট্রেনের চালকদের সঙ্গে কথা হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন চালক প্রথম আলোকে বলেন, প্রথম দফা অবরোধ কর্মসূচি শুরুর পর নিরাপত্তার জন্য রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ হেলমেট সরবরাহ করে। ট্রেন চালানোর সময় তাঁদের তা ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়। দেশের সব ট্রেনের চালকেরা এখন হেলমেট ব্যবহার করছেন।

ওই চালক আরও বলেন, ট্রেনের জানালা কাচের। বাইরে থেকে ঢিল ছুড়লে কাচ ভেঙে মাথায় আঘাত লাগতে পারে। মূলত এ কারণে হেলমেট পরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও বেশিক্ষণ হেলমেট পরে থাকতে বিরক্তি লাগে। এ জন্য মাঝেমধ্যে খুলে রাখেন। এখন পর্যন্ত ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে ট্রেন চালাতে গিয়ে তাঁরা কোনো ঝুঁকিতে পড়েননি।

বিকেল পাঁচটার দিকে চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী আন্তনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন কুলাউড়ায় পৌঁছায়। এ সময় ওই ট্রেনের চালকদেরও হেলমেট পরা দেখা গেছে।

ট্রেনের চালকদের হেলমেট ব্যবহারের নির্দেশনাকে ভালো উদ্যোগ বলে উল্লেখ করেছেন কুলাউড়া জংশন রেলস্টেশনের মাস্টার রোমান আহমদ। তিনি  প্রথম আলোকে বলেন, অবরোধে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক আছে। চালকদের ঝুঁকির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, অবরোধে সীমিত পরিসরে দূরপাল্লার বাস চলাচল করায় ট্রেনে কয়েক দিন ধরে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে।