উৎসবে এসে বন্ধু-সহপাঠীর দেখা পেয়ে উচ্ছ্বসিত কৃতী শিক্ষার্থীরা

কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চলছে। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের প্রাচীন বিদ্যাপীঠ অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে
ছবি: প্রথম আলো

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চলছে। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের প্রাচীন বিদ্যাপীঠ অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে এ উৎসব শুরু হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন আনন্দলোক সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিক্ষার্থী ও বন্ধুসভার সদস্যরা। এ উৎসবে এসে একসঙ্গে অনেক বন্ধু ও সহপাঠীর দেখা পেয়ে উচ্ছ্বসিত কৃতী শিক্ষার্থীরা।

কুয়াশা আর শীত উপেক্ষা করে সকাল থেকে উৎসব প্রাঙ্গণে আসতে শুরু করে নিবন্ধন করা শিক্ষার্থীরা। উৎসবে অংশ নিতে জিপিএ-৫ পাওয়া ১ হাজার ৩৫৭ শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছে। সারা দেশের ৬৪টি জেলায় প্রথম আলোর আয়োজনে ও শিক্ষার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘শিখো’র পৃষ্ঠপোষকতায় জিপিএ-৫ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই আয়োজনে সহযোগিতা করছে ফ্রেশ, এটিএন বাংলা ও প্রথম আলো বন্ধুসভা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গভ. মডেল গার্লস হাই স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে মিশকাতুল জান্নাত। সে বলে, ‘আমি এখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছি। আমার অনেক বন্ধু ভর্তি হয়েছে ঢাকার বিভিন্ন কলেজে। উৎসবে এসে অনেক দিন পর বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হলো।’

বাঞ্ছারামপুর উপজেলা থেকে মুনতাহা ইসলাম এসেছে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে। সে বাহেরচরা উচ্চবিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। মুনতাহা জানায়, উৎসবে এসে তার দারুণ লাগছে। এখানে এসে বিভিন্ন এলাকার বন্ধুদের সঙ্গে বড় পরিসরে মেশার সুযোগ পেয়েছে। নতুন অনেকের সঙ্গে পরিচয়ও হচ্ছে। দিনব্যাপী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট, প্রথম আলো ই-পেপার (১ মাস) ও চরকির (১৫ দিন) ফ্রি সাবস্ক্রিপশন, শিখোর সৌজন্যে বিনা মূল্যে কোর্স, ফ্রেশ ব্র্যান্ডের স্ন্যাকস বক্স।

শিক্ষার্থীদের দিকনির্দেশনা দিতে উৎসব প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়েছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ এস এম শফিকুল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান চিকিৎসক আবু সাঈদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হামজা মাহমুদ ও কলেজ থেকে সদ্য অবসর নেওয়া অধ্যক্ষ বিভূতিভূষণ দেবনাথ, অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীন, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম, সৈয়দাবাদ সরকারি কলেজের প্রভাষক এস আর এম ওসমান গনি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজের উদ্যোক্তা ও পরিচালক হারুন অর রশিদ ও শাহিন মৃধা, প্রথম আলোর পলিটিক্যাল এডিটর কাদের কল্লোল, ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এ বি এম খায়রুল কবীর প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পক্ষ থেকে দুজন চিকিৎসকের সমন্বয়ে একটি প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র এবং জরুরি প্রয়োজনে প্রস্তুত রাখা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স। অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বন্ধুসভার সদস্যদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা রয়েছে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শাহাদৎ হোসেন।

অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘স্বপ্নকে ডানা মেলতে দিতে হবে। অতীত যেন আমাদের কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে। অতীতকে আঁকড়ে ধরে সামনে এগোনো যায় না। তাই স্বপ্ন দেখতে হবে। বড় স্বপ্ন দেখতে হবে। মাদকের স্পর্শ থেকে দূরে থাকতে হবে। মাদককে সব সময় না বলতে হবে।’