রাজশাহীতে চাঁদাবাজির মামলার বাদীকেই গ্রেপ্তারের দাবি বিএনপির
রাজশাহীতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলার বাদীকে গ্রেপ্তারের দাবি উঠেছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে মহানগর বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানানো হয়।
গত বুধবার রাজশাহীর আবাসন ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে নগরের বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা করেন। এতে রাজশাহী জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানি, বোয়ালিয়া থানা (পশ্চিম) বিএনপির সভাপতি শামসুল ইসলাম, রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রদলের সদস্যসচিব এমদাদুল হকসহ ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ২০ জনকে।
মামলার প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, মোস্তাফিজুর রহমান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও তাঁর স্ত্রী শাহীন আক্তারের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। বিএনপির নেতা-কর্মীদের হয়রানি করতে তিনি মিথ্যা মামলা করেছেন। অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ (সুইট) বলেন, ‘পুলিশ-প্রশাসন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর ও প্রতারকদের হাতে হাত মিলিয়ে এখনো তাদের প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করছে এবং রাজশাহী মহানগর বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা নিচ্ছে। যাঁরা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত বা জড়িত থাকবেন, তাঁদের বিচার আমরা এই বাংলার মাটিতে করব।’
বক্তারা বলেন, মোস্তাফিজুর রহমান একজন প্রতারক ও জালিয়াত চক্রের হোতা। আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের আর্থিক পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কাজ করতেন তিনি। ফ্ল্যাট বিক্রির নামে বহু গ্রাহকের অর্থ নিয়ে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেননি। আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতায় গ্রাহকের হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বর্তমানেও প্রতারণামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। অবিলম্বে তাঁকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে কঠোর আন্দোলন হবে। তাঁরা আরও বলেন, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ও প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে দলের নিরীহ নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। প্রতারক মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে এর আগেও প্রতারণার একাধিক মামলা থাকলেও প্রশাসনের রহস্যজনক নীরবতা প্রশ্নবিদ্ধ।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন রাজশাহী মহানগর যুবদলের সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম, বোয়ালিয়া থানা (পশ্চিম) বিএনপির সভাপতি শামসুল হোসেন, ছাত্রদলের নেতা এমদাদুল হক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন, মহানগর যুবদলের সদস্য মাসুদুল হক মৃধা, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সৈকত পারভেজ, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, মেরাজুল ইসলাম প্রমুখ।