ভ্যানচালককে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড, তিনজনের যাবজ্জীবন

আদালত
প্রতীকী ছবি

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার ছোট বুইছাকাঠি গ্রামের ভ্যানচালক মিজানুর শেখকে (১৯) হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোক্তাগীর আলম আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় এ রায় ঘোষণা করেন।

হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তির নাম মিজানুর শেখ। তিনি নাজিরপুর উপজেলার ছোট বুইছাকাঠি গ্রামের আবুল শেখের ছেলে।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি হলেন নাজিরপুর উপজেলার ছোট বুইছাকাঠি গ্রামের ছাইদুল ইসলাম মোল্লা (২৬)। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন কাউখালী উপজেলার চিরাপাড়া গ্রামের সঞ্জয় চন্দ্র দেবনাথ (৪৯), একই গ্রামের পল্টু কুমার দাস (২৮) ও একই উপজেলার ডুমজুরী গ্রামের শেখ মাইনুল হাসান (২৭)। রায় ঘোষণার সময়ে পল্টু কুমার দাস আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। বাকি তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই কাউখালী উপজেলার চিরাপাড়া গ্রামের একটি পানের বরজের নালা থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় কাউখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দীপক কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে স্থানীয় থানায় হত্যা মামলা করেন। নিহত ব্যক্তির লাশ বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফনের পর তাঁর পরনের পোশাক ও ছবি দেখে লাশ শনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ছাইদুর ইসলাম মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সঞ্জয় চন্দ্র দেবনাথ, পল্টু কুমার দাস ও শেখ মাইনুল হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়ার পর আসামিরা পুলিশকে বলেছিলেন, ২০১৭ সালের ১৪ জুলাই মিজানুর শেখকে তাঁর ভ্যানসহ একই গ্রামের ছাইদুল ইসলাম মোল্লা কৌশলে কাউখালী উপজেলার ডুমজুরী গ্রামে নিয়ে যান। ভ্যানটি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে আসামিরা মিজানুর শেখকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পানের বরজের একটি নালার মধ্যে ফেলে রাখেন। এরপর পুলিশ ভ্যানটি উদ্ধার করে।

২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জলিল আহম্মেদ তদন্ত শেষে চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। মামলার ২১ সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।

সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মো. জহুরুল ইসলাম। মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘এ রায়ে আমরা খুশি।’