গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের উপনির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের তৃতীয় দিনের কাজ আজ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টায় শুরু হয়েছে। গাইবান্ধা সার্কিট হাউস মিলনায়তনে তদন্তকাজ চলছে। তিন দিনব্যাপী এ তদন্তকাজ আজ শেষ হওয়ার কথা।
এ তদন্তে নির্বাচন–সংশ্লিষ্ট অন্তত ৬৮৫ জনের বক্তব্য নেওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দিনে ১৪৬ এবং দ্বিতীয় দিনে ৪৩০ জনের বক্তব্য নেওয়া হয়। দুই দিনে মোট ৫৭৬ জনের বক্তব্য নেওয়া হয়।
তৃতীয় দিনে আজ গাইবান্ধা সার্কিট হাউস মিলনায়তনে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি ও র্যাবের কমান্ডিং কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে লিখিত বক্তব্যসহ নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত থাকার অনুরোধ করা হয়েছে।
আজ সকালে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বলেন, ‘তদন্ত কমিটি নির্বাচনের দিনের ঘটনা সম্পর্কে আমাদের কাছে জানতে চান। আমরা যা দেখেছি, সেটাই বলেছি এবং লিখিত বক্তব্য দিয়েছি।’
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে গত ১৩ অক্টোবর তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে নির্বাচন কমিশন। কমিটির কর্মকর্তারা হচ্ছেন আহ্বায়ক বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, সদস্যসচিব মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী ও সদস্য যুগ্ম সচিব কামাল উদ্দিন বিশ্বাস। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এ কমিটি গঠন করেন। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
১২ অক্টোবর সকাল আটটায় গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ওই দিন দুপুরে পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে চারজন প্রার্থী ভোট বর্জন করেন। এরপর ঢাকা থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে গোপন বুথে ঢুকে ভোট নেওয়াসহ নানা অনিয়ম দেখে নির্বাচন কমিশন প্রথমে ৪৪টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করে। বেলা দুইটার দিকে উপনির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করা হয়।