সরকার নির্ধারিত বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

গাজীপুরের শ্রীপুরের জৈনাবাজার এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ বিক্ষোভ হয়
ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে সরকার নির্ধারিত কাঠামো অনুযায়ী বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকেরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জৈনাবাজার এলাকায় বিক্ষোভ করেন তাঁরা। পরে পুলিশ পাল্টা কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করলে আন্দোলনরত শ্রমিকেরা মহাসড়ক ছেড়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।

কয়েকজন শ্রমিক ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে মহাসড়কে অবস্থান নেন। প্রায় ৫০০ শ্রমিক এ আন্দোলনে অংশ নেন। এতে ওই সড়কের দুই পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে শ্রমিকেরা ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশও পাল্টা কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। পরে বেলা পৌনে তিনটার দিকে আন্দোলনরত শ্রমিকেরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শ্রমিক প্রতিনিধি ও কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হবে। দুই পক্ষকে নিয়ে বসে সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা চলছে।

আন্দোলনরত শ্রমিকেরা বলেন, তাঁরা জৈনাবাজার এলাকার গুলশান স্পিনিং মিলস লিমিটেড কারখানার কর্মী। শ্রমিকদের জন্য সরকার বেতনকাঠামো নির্ধারণ করে দিলেও তাঁদের সে অনুযায়ী বেতন না দেওয়ায় আন্দোলনে নেমেছেন তাঁরা। এ ছাড়া চলতি মাসেই তাঁদের উৎসব ভাতা দেওয়ার নিশ্চয়তা চান তাঁরা। আন্দোলন চলা অবস্থায় পুলিশ তাঁদের উপর কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে বলেও অভিযোগ তাঁদের।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিক মো. আফসার উদ্দিন বলেন, সব কারখানা সরকারি নিয়মে বেতন দিচ্ছে। কিন্তু তাঁদের কারখানায় এই নিয়ম মানা হচ্ছে না। ঈদের আগে উৎসব ভাতা দেওয়া নিয়েও টালবাহানা চলছে। তাই তাঁরা রাস্তায় নেমেছেন।

আন্দোলনরত শ্রমিক আশরাফুল আলম বলেন, পরিবার নিয়ে খেয়েপরে বাঁচার জন্যই তাঁরা চাকরি করছেন। পরিবারগুলোর কথা বিবেচনা করে সরকার নির্ধারিত কাঠামো অনুযায়ী বেতন পরিশোধের দাবি জানান তিনি।

এ প্রসঙ্গে গুলশান স্পিনিং মিল লিমিটেড কর্তৃপক্ষের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাদের প্রধান ফটক দুপুর থেকেই বন্ধ। ভেতরে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।

গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২–এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম প্রথম আলোকে বলেন, শ্রমিকেরা সড়কে অবস্থান নেওয়ায় তাঁদের সেখান থেকে সরে যেতে বলা হয়েছিল। পরে তাঁরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। কিছু গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা চালান। এরপর শিল্প পুলিশ বাধ্য হয়ে তিনটি কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।