ব্যালট পেপার ২০ ইঞ্চি লম্বা। তা–ও একটি নয়, এমন পাঁচটি ব্যালট ব্যবহার করা হয়েছে রাজশাহী কলেজ এইচএসসি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনে। রাজশাহীতে ভোট গ্রহণ শেষ। দ্বিতীয় দফায় ঢাকায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য ব্যালট বাক্স সিলগালা করে থানায় রেখে দেওয়া হয়েছে।
গত শুক্রবার রাজশাহী কলেজে প্রথম দফায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ২ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় ভোট গ্রহণ হবে ঢাকায়। এই মধ্যবর্তী সময়ে কেউ যেন অবিশ্বাস না করেন, সে জন্য ব্যালট বাক্স সিলগালা করে রাজশাহী নগরের বোয়ালিয়া থানায় রাখা হয়েছে।
এই অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন ২০২৫–এর প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিযুক্ত করা হয়েছে কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমানকে। তিনি বলেন, কেউ যেন অবিশ্বাস করতে না পারেন, সে জন্য ব্যালট বাক্সগুলো থানায় রেখে দিয়েছেন। আর ৪৩টি পদে ভোট হচ্ছে। দুটি প্যানেলের ৮৬ প্রার্থী। তাই ব্যালট লম্বা হয়েছে।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে রাজশাহী কলেজ এইচএসসি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হয়। একটি পুনর্মিলনীর মাধ্যমে এই অ্যাসোসিয়েশন গঠন করা হয়। সেই পুনর্মিলনীতে প্রায় সাড়ে আট হাজার প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও আরও দুই হাজার অতিথি উপস্থিত ছিলেন। পরে কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৮১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এবার এই নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হয়েছে সাবেক অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমানকেই।
নির্বাচনে মোট ভোটার ১ হাজার ৬৩১ জন। এর মধ্যে রাজশাহী কলেজে প্রথম দফা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৬৯৮টি। ঢাকা অঞ্চলের ভোটার হচ্ছে ৫৯১টি। বাকি ভোট সিলেট, চট্টগ্রামসহ অন্যান্য অঞ্চলের। ২ জানুয়ারি ঢাকায় এলজিইডি ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঢাকাসহ অন্যান্য এলাকার ভোটাররা তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
‘ক’ ও ‘খ’ নামের দুটি প্যানেল এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। ‘ক’ প্যানেলের সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন মেজর জেনারেল (অব.) আসিকুজ্জামান তুষার। তিনি কুয়েতের সাবেক রাষ্ট্রদূত। আর সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন চিকিৎসক তাহসিনা শামীম ওরফে তাসু। ‘খ’ প্যানেলের সভাপতি পদে রাজশাহীর সিডিএম হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী সাইদুর রহমান ওরফে কোয়েল ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সালাম ওরফে বিপ্লব প্রার্থী হয়েছেন।
‘খ’ প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী চৌধুরী সাইদুর রহমান বলেন, সমন্বয়ের জন্য, নবীন এই সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য, কাজ করার জন্য এবং আরও নিবিড় তত্ত্বাবধানের জন্য ‘খ’ প্যানেলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী তাঁরা রাজশাহী থেকে দিয়েছেন।
‘ক’ প্যানেলের সহসভাপতি মালেকা মাকসুদা বলেন, তাঁদের প্যানেলের ২০ জন রাজশাহীর, ২২ জন ঢাকার ও একজন চট্টগ্রামের আছেন। তাঁদের সভাপতি ঢাকার হলেও সাধারণ সম্পাদক, দপ্তরসহ অন্য সম্পাদকীয় পদগুলো রাজশাহীর রেখেছেন। তা ছাড়া তিনি মনে করেন, অ্যাসোসিয়েশনকে শক্তিশালী করতে হলে সারা দেশের প্রতিনিধিত্ব দরকার।