দিনাজপুরে তরুণীকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় এক তরুণীকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা শহরের তেলীপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে। তাঁকে দিনাজপুরের এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ৯৯৯–এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর বোন বাদী হয়ে গতকাল বুধবার রাত পৌনে ১০টায় চিরিরবন্দর থানায় একটি মামলা করেছেন। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

ভুক্তভোগী ওই তরুণী (১৮) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি বলেন, পঞ্চগড় সদর উপজেলার এক তরুণের (২৪) সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মঙ্গলবার সকালে ওই তরুণ পঞ্চগড় থেকে চিরিরবন্দরে তাঁদের বাসায় এসে মা-বাবার কাছে বিয়ের কথা জানান। কিন্তু পরিবার রাজি না হওয়ায় তিনি ওই তরুণের সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়ে চিরিরবন্দর রেলস্টেশনে আসেন। পঞ্চগড়ে যাওয়ার কোনো ট্রেন না পেয়ে উপজেলার ঘুঘরাতলী এলাকায় বটগাছের নিচে বসে অটোরিকশার জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। স্টেশন থেকে দুটি ছেলে তাঁদের অনুসরণ করে সেখানে আসেন। ওই দুজনের একজন স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার গাড়িচালকের ছোট ভাই বলে জানতে পারেন তিনি। নাম মোবিন (২০)।

ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, ঘুঘরাতলীতে রাত ১০টার দিকে মোবিনসহ দুজন তাঁদের গন্তব্যের কথা জানতে চান। তাঁদের সঙ্গে যোগ হয় মাস্ক পরা আরও তিনজন। সব শুনে মোবিন তাঁদের বলেন, ‘তোমরা পালায় যাচ্ছো কেন? তোমরা যদি বিয়ে করবা আমরা তোমাদের বিয়ে দেব। এখানে আমাদের সভাপতির ছেলে আছে, আমরা বিষয়টা ওনাকে জানাইছি। তোমরা চলো আমাদের সাথে।’ তাঁরা এই প্রস্তাবে রাজি না হলে মারধর শুরু করেন ওই তরুণেরা। একপর্যায়ে একটা ভ্যানে তুলে মুঠোফোন কেড়ে নেন। এরপর একটি নির্মাণাধীন ভবন এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে তরুণকে অন্যত্র আটকে রেখে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। পরে তাঁকে ধানখেতে ফেলে রেখে চলে যান তাঁরা। পরে ওই তরুণ ৯৯৯–এ ফোন করলে পুলিশ গিয়ে দুজনকে উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করে মোবিনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।