আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান

অনুসন্ধান কমিটির কাছে লিখিত জবাব দেন নওগাঁ-২ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহীদুজ্জামান সরকার ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন। আজ রোববার দুপুরে নওগাঁ আদালত চত্বরেছবি: প্রথম আলো

আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন নওগাঁ-২ (পত্নীতলা ও ধামইরহাট) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার। একই আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন কমিটিকে বলেছেন, তিনি কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন করেননি। তাঁদের দুজনকেই সতর্ক করেছে কমিটি।

আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে নওগাঁ-২ আসনের জন্য গঠিত নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধান ও জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আহসান হাবিবের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার ও জাপার প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে লিখিত ব্যাখ্যা দেন। আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে গত মঙ্গলবার তাঁদের কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হয়েছিল।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহীদুজ্জামান সরকার লিখিত ব্যাখ্যায় বলেছেন, গত ৩০ নভেম্বর এবং বিভিন্ন সময় নওগাঁ, ধামইরহাট ও পত্নীতলায় দলীয় নেতা-কর্মীরা তাঁর অজ্ঞাতে, আবেগের বশবর্তী হয়ে ব্যানার–ফেস্টুনসহ জমায়েত হয়ে জনগণের চলাচলে সাময়িক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে থাকতে পারেন। এই কাজের জন্য তিনি গভীরভাবে মর্মাহত এবং নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ যাতে না হয়, সেদিকে তিনি খেয়াল রাখবেন।

অন্যদিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন লিখিত ব্যাখ্যায় বলেন, তিনি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা পদে আছেন। সারা বছরই জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক কর্মসূচিসহ ব্যক্তিগত প্রচার-প্রচারণার অংশ হিসেবে বিভিন্ন ব্যানার–ফেস্টুন নওগাঁ জেলাজুড়ে লাগিয়ে থাকেন। সেই ধারাবাহিকতায় এ বছরও তিনি ও তাঁর সমর্থকেরা বিভিন্ন রকম ব্যানার–ফেস্টুন লাগিয়েছেন। প্রার্থী হওয়ার পর তিনি কোনো ব্যানার ফেস্টুন লাগাননি। যেসব ব্যানার–ফেস্টুনের বিষয়ে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির দৃষ্টিগোচর হয়েছে, সেগুলো প্রার্থী হওয়ার আগেকার। ইতিমধ্যে কিছু ব্যানার–ফেস্টুন অপসারণ করেছেন এবং বাকিগুলো সরানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। পারিপার্শ্বিক ঘটনা ও অবস্থাক্রমে এবং লিখিত জবাবের আলোকে তাঁর প্রার্থিতা অব্যাহত রাখতে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

শহীদুজ্জামান সরকার ও তোফাজ্জল হোসেনের লিখিত জবাবের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের সতর্ক করে নির্বাচনী আচরণবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালনের নির্দেশনা দিয়েছেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধান ও জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আহসান হাবিব।