মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় স্যার জগদীশচন্দ্র বসু ইনস্টিটিউশন ও কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষককে অপসারণ এবং শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
রোববার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার রাঢ়িখাল এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে এসব কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সম্প্রতি সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. মোশাররফ হোসেন সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির চেষ্টা করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে ছাত্রীদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন তিনি। এ ব্যাপারে তাঁরা বেশ কয়েকবার অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু ওই শিক্ষক তাঁর আচরণ পরিবর্তন করেননি।
আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ে যত দিন থাকবেন, তত দিন ছাত্রীরা যৌন হয়রানির শিকার হবে। ছাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য ওই শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে অপসারণ করতে হবে। সেই সঙ্গে তাঁর এমন আচরণের জন্য শাস্তির দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। পরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুরাইয়া আশ্রাফী ওই শিক্ষকের বিচারের আশ্বাস দিলে কর্মসূচি থেকে শ্রেণিকক্ষে ফিরে যান শিক্ষার্থীরা।
এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগের ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
স্যার জগদীশচন্দ্র বসু ইনস্টিটিউশন ও কলেজের অধ্যক্ষ ফরহাদ আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত ২৫ আগস্ট শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছিলাম। তখনই সাতজন শিক্ষককে নিয়ে সভা করি। সভায় ওই শিক্ষককে তাঁর ক্লাস থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। কোনো শিক্ষককে বরখাস্ত করতে হলে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভা ডাকতে হয়। আমাদের প্রতিষ্ঠানের সভাপতি দেশের বাইরে আছেন। তিনি এলেই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সুরাইয়া আশ্রাফী রোববার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থীদের মানবন্ধন ও বিক্ষোভের কথা শুনতে পেয়ে আমি তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে যাই ।তখনই শিক্ষকের বিষয়ে আনা অভিযোগটি জানতে পারি। পরে ওই শিক্ষককের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে যায়। পরে এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে স্যার জগদীশচন্দ্র বসু ইনস্টিটিউশন ও কলেজে সভা হয়।সে সভায় শিক্ষকদে এমন আচরণ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।’