‘ভাই বাড়ি এলেন ঠিকই, তবে লাশ হয়ে’

নাজিম উদ্দিন

বান্দরবানের বোয়াংছড়িতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর টহল দলের ওপর কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) অতর্কিত গুলিবর্ষণে নিহত সেনাবাহিনীর মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার নাজিম উদ্দিনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বাদ জোহর জানাজা শেষে তাঁকে রংপুরের ঘাঘটপাড়া গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এদিকে হেলিকপ্টারযোগে নাজিমের লাশ প্রথমে রংপুর সেনানিবাসে আনা হয়। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রথম জানাজা হয়। পরে তাঁর লাশ রংপুর নগরের ঘাঘটপাড়া গ্রামে নেওয়া হয়। বাদ জোহর সেখানকার বাগানবাড়িতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়। এ সময় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নাজিমের পরিবার সূত্রে জানা যায়, নাজিম উদ্দিনের স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছেন। তাঁর বড় ছেলে নায়েমুজ্জামান চঞ্চল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। ছোট ছেলে আবদুল্লাহ আল নোমান এইচএসসির পরীক্ষার্থী। নাজিম রংপুর নগরের ঘাঘটপাড়া গ্রামের মৃত শমসের আলীর ছেলে। নাজিমরা দুই ভাই ও তিন বোন। ভাইদের মধ্যে নাজিম ছিলেন সবার বড়।

আজ পৌনে বেলা একটার দিকে সেনাবাহিনীর গাড়িতে কফিনবন্দী লাশ আনা হয় নাজিমের গ্রামের বাড়িতে। সেখানে বড় ভাইয়ের কফিনের দিকে তাকিয়ে কাঁদতে কাঁদতে ছোট ভাই আজিম মাহমুদ বললেন, ‘শনিবার রাতে ভাইয়ের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছে। ভাই বলেছিলেন, ঈদে ছুটি পেলে বাড়িতে আসবেন। ভাই বাড়ি এলেন ঠিকই, তবে লাশ হয়ে।’