নৌকার প্রচারণা চালানোর অভিযোগে ১৯ প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে অব্যাহতি

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন
প্রতীকী ছবি

গাজীপুর-১ (কালিয়াকৈর-সদর একাংশ) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ার অভিযোগে ১৯ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অব্যাহতি পাওয়া সবাই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সহকারী শিক্ষক।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করে বলেন, ‘যেহেতু সবাই শিক্ষক, তাই আমরা সবার নাম প্রকাশ করতে চাচ্ছি না।’

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম ২ জানুয়ারি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ১৯ প্রিসাইডিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালানোর অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি কালিয়াকৈর উপজেলার মুরাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কালিয়াকৈর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মো. আরিফ অতি উৎসাহী হয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেওয়ার অভিযোগ তুলে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন। তাঁর সঙ্গে আরও ১৮ জনের একটি তালিকা জমা দেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। পরে বিষয়টি আমলে নিয়ে নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ১৯ জনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন।

অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষক নেতা দেওয়ান মো. আরিফ প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে তাঁদের (নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা) কেউ হয়তো ভুল বুঝিয়েছেন। বাস্তবে তিনি কোনো প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাননি বা প্রচারণায় অংশ নেননি।

ইউএনও হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন, নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের জন্য প্রিসাইডিং কর্মকর্তা যে পরিমাণ প্রয়োজন, তার চেয়ে বেশি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল, যাতে কেউ হঠাৎ অসুস্থ বা অন্য কোনো অসুবিধা থাকলে পরিবর্তন করা যায়। তাই যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে, তাঁদের দায়িত্ব না দিয়ে রিজার্ভে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১ থেকে ১৮ নম্বর ওয়ার্ড ও কালিয়াকৈর উপজেলা নিয়ে গঠিত গাজীপুর-১ আসনে এবার মোট সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের আ ক ম মোজাম্মেল হক (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম (ট্রাক), বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের মো. সফিকুল ইসলাম (ফুলের মালা), জাতীয় পার্টির এম এম নিয়াজ উদ্দিন (লাঙ্গল), বিএনএমের মো. আর্শেদুজ্জামান (নোঙ্গর), ইসলামী ঐক্যজোটের ফজলুর রহমান (মিনার), তৃণমূল বিএনপির চৌধুরী ইরাদ আহ্‌মদ সিদ্দিকী (সোনালী আঁশ)। এর মধ্যে জাতীয় পার্টির নিয়াজ উদ্দিন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।