শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ কর্মীকে পেটানো নেতা ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ কর্মীকে পেটানো সেই নেতাকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমান এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানিয়েছেন। বেলা পৌনে তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী সেই ছাত্রলীগ নেতাকে অবাঞ্ছিত করার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা ওই ছাত্রলীগ নেতা হলেন মো. মোজাহিদুল ইসলাম ওরফে মো. রিশাদ ঠাকুর।
অফিস আদেশে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে অবৈধভাবে অবস্থান করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ধারাবাহিক প্রচেষ্টা চালানো ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের অত্যাচার-নির্যাতন করার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হল কর্তৃপক্ষের গঠিত কমিটির সুপারিশে মো. রিশাদ ঠাকুরকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি কখনোই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন না।
গত শুক্রবার বিকেলে ছাত্রলীগ নেতা মো. মোজাহিদুল ইসলাম ওরফে মো. রিশাদ ঠাকুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে তাঁর কক্ষে ডেকে নিয়ে সংগঠনের কর্মী ও হলের আবাসিক ছাত্র নূর মোহাম্মদ বায়েজিদকে বেধড়ক মারধর করেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নূর মোহাম্মদ বায়েজিদ লিখিতভাবে হলের প্রাধ্যক্ষকে জানান। এ ঘটনায় আজ প্রথম আলো ছাপা পত্রিকার ৬ নম্বর পাতায় ‘কর্মীকে পেটালেন ছাত্রলীগ নেতা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কমিটি না থাকায় এখানে ছয়টি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। এর একটি গ্রুপের যৌথভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ছাত্রলীগ নেতা সুমন মিয়া, রিশাদ ঠাকুরসহ চারজন। এর আগে ২০১৯ সালের ২৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ছাত্রলীগের বাংলা বিভাগ কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজীব সরকারের ওপর ধারালো অস্ত্র ও জিআই পাইপ দিয়ে হামলা চালানোর ঘটনায় ছাত্রলীগের সাত নেতা-কর্মীকে এক সেমিস্টার বহিষ্কারসহ জরিমানা করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বহিষ্কৃত নেতা-কর্মীদের মধ্যে মো. মোজাহিদুল ইসলাম ওরফে মো. রিশাদ ঠাকুর ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ সেশনের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০২২ সালে তাঁর স্নাতক (সম্মান) বিভাগের ছাত্রত্ব শেষ হয়। তবে তিনি স্নাতকোত্তরে ভর্তি হননি। ছাত্রত্ব শেষ হলেও তিনি হলে অবৈধভাবে একটি কক্ষ নিজের দখলে রেখে অবস্থান করছিলেন।