বৈরী আবহাওয়ায় ৫ দিন ধরে ভোলার ৩০টি নৌপথে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ
বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভোলার সাগরমোহনা ও মেঘনা নদী উত্তাল থাকায় জেলার প্রায় ৩০টি নৌপথে যাত্রীবাহী লঞ্চ ও সিট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে এসব নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত এসব নৌপথে লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেয়নি কর্তৃপক্ষ। তবে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কিছু স্পিডবোট ও ছোট ট্রলার যাত্রী পরিবহন করছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌনিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, অবৈধ নৌযান চলাচল ঠেকাতে অভিযান চালানো হচ্ছে। তারপরও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কিছু স্পিডবোট ও ট্রলার চলাচল করছে।
ভোলা আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। এ কারণে সন্দ্বীপ চ্যানেলে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল আপাতত নিষিদ্ধ। বিআইডব্লিউটিএর ভোলা নদীবন্দরের সহকারী পরিচালক রিয়াদ হোসেন বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত যাত্রীবাহী লঞ্চ ও সিট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে।
নৌনিরাপত্তা বিভাগের পরিদর্শক মো. জসিম উদ্দিন জানান, প্রতিবছর ১৫ মার্চ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশা-লক্ষ্মীপুর নৌপথে মেঘনা নদী সাগরমুখী হয়ে ওঠে। তাই এ সময়টিতে এসব নৌপথে বিশেষ সতর্কতা জারি থাকে। ভোলার ইলিশা-লক্ষ্মীপুর, বরিশাল-মেহেন্দিগঞ্জ-ইলিশা, দৌলতখান-আলেকজান্ডার, মনপুরা-চরফ্যাশন, বেতুয়া-ঢাকা, মনপুরার হাজিরহাট-চেয়ারম্যান ঘাটসহ অন্তত ৩০টি নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে বিআইডব্লিউটিএর আওতায় রয়েছে ৮টি নৌপথ, বাকিগুলো জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণে।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, এসব নৌপথে প্রতিবছর ১৫ মার্চ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত লাইসেন্সধারী স্পিডবোট চলাচল নিষিদ্ধ থাকে। ছোট ট্রলার সারা বছরই নিষিদ্ধ। কিন্তু এসব নিয়ম উপেক্ষা করে অনেক জায়গায় এখনো ট্রলার ও স্পিডবোট চলাচল করছে, ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে।