ডোমারে প্রথমবারের মতো উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন ফারহানা আক্তার

সরকার ফারহানা আক্তার

নীলফামারীর ডোমার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো নারী চেয়ারম্যান হলেন সরকার ফারহানা আক্তার (২৫)। জেলার ছয় উপজেলা পরিষদে তিনিই একমাত্র নারী চেয়ারম্যান।

গতকাল বুধবার রাতে ঘোষিত ফলাফলে ফারহানা আক্তার টেলিফোন প্রতীকে ৩১ হাজার ৪২১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. তোফায়েল আহমেদ আনারস প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২৩ হাজার ১৩৪ ভোট। গতকাল রাত সোয়া ১১টার দিকে বেসরকারি ওই ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।

সরকার ফারহানা আক্তার উপজেলার ভোগডাবুরী ইউনিয়নের চিলাহাটি বাজারের বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানী ও মোছা. রাহেনা বেগমের মেয়ে। তাঁরা ৩ বোন ও ২ ভাই। তাঁর স্বামী মো. মারুফুল হক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত।
জয়ী ফারহানা আক্তার বলেন, ‘আমি আসলে সংসদ সদস্য হতে চেয়েছিলাম। গত সংসদ নির্বাচনে আমি মনোনয়ন চেয়েছিলাম। মনোনয়ন না পাওয়ার কারণে আমার এলাকার জনগণই আমাকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে বলেন। আমার বিপুল ব্যবধানে জয়ের নেপথ্যে আছে আমার এলাকার জনগণের অক্লান্ত পরিশ্রম। এই জয় আমার একার না, এই জয় আমার এলাকার জনগণের।’

ফারহানা আক্তার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপসাহিত্য সম্পাদক, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডসহ বিভিন্ন সংগঠনে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

ভোগডাবুরী ইউনিয়নের পাটোয়ারীপাড়া গ্রামের ভোটার মো. তানজিরুল ইসলাম (৩০) বলেন, ‘ফারহানা আপার অনেক জনপ্রিয়তা আছে। তিনি এমপি-মন্ত্রী, চেয়ারম্যান না হয়েও মানুষের বিপদে-আপদে এগিয়ে যান। কারও কোনো সমস্যা হলে তিনি সেটার সমাধান করার চেষ্টা করেন। এলাকার উন্নয়নেও কাজ করেন। তাঁর মধ্যে কোনো অহংকার নেই। এ কারণে এলাকার সব বয়সের মানুষ তাঁকে পছন্দ করেন।’

ভোগডাবুরী ইউনিয়নের চিলাহাটি বাজারের উদয়নপাড়ার বাসিন্দা মো. আশরাফুল হক বলেন, ফারহানার বড় বোন চিকিৎসক। তিনি ঢাকায় কর্মরত। এলাকার কেউ জটিল রোগে আক্রান্ত হলে তাঁর বোনের মাধ্যমে ফারহানা চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকেন। করোনার সময় মানুষকে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন। বন্যার সময় মানুষের পাশে থাকেন। এসব কারণে তিনি জনপ্রিয়।