বাগেরহাটে পিটুনিতে ‘চাঁদা চাইতে যাওয়া’ যুবক নিহত

গণপিটুনিপ্রতীকী ছবি

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় পিটুনিতে রাসেল শেখ (৩৮) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ বিকেলে কচুয়া উপজেলার চন্দ্রপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় রাজিব নামের আরেক যুবক পিটুনির শিকার হন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, চন্দ্রপাড়া এলাকার মহিদ পাইকের বাড়িতে দাবি করা চাঁদার টাকা চাইতে গেলে এলাকাবাসীর পিটুনির শিকার হন রাসেল ও তাঁর সহযোগীরা। পুলিশ জানায়, রাসেল ও রাজিবকে উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসকেরা রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত রাসেল শেখ চন্দ্রপাড়া এলাকার আজিজ শেখের ছেলে। আহত রাজিব স্থানীয় সেলিম শেখের ছেলে। তাঁকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় জাহিদ পাইক বলেন, ‘আমার ভাই মহিদ পাইকের কাছে বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি করে রাসেল শেখ। সপ্তাহখানেক আগে পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে যায়। গতকাল রোববার মহিদ পাইককে আরও টাকা জোগাড় করে রাখতে শাসিয়ে যায়। যদি টাকা না রাখা হয়, ঘরবাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলার হুমকি দিয়ে যায়। পরে আজ বিকেলের দিকে রাসেলসহ পাঁচ-ছয়জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে মহিদের বাড়িতে ঢুকে টাকা দাবি করে। এ সময় বাড়ির নারীরা ডাক-চিৎকার দিলে গ্রামবাসী এসে তাদের পিটুনি দেয়। অন্য কয়েকজন পালিয়ে গেলেও রাসেল ও রাজিব গুরুতর আহত হয়।’

স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, রাসেল শেখ এলাকার একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। গত ৫ আগস্টের পর রাসেলের নেতৃত্বে এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও চাঁদাবাজি হয়েছে। এমনকি প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র নিয়ে রাস্তায় মহড়া দেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা ভীতসন্ত্রস্ত থাকতেন।

কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মনি শঙ্কর পাইক বলেন, রাসেলকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর মাথা, পিঠ, পাসহ বিভিন্ন স্থানে ছয়টি বড় ক্ষত ও অসংখ্য ছোট জখম আছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়।

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, পিটুনিতে রাসেল নামের একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় তাঁর সহযোগী রাজিব গুরুতর আহত হন। রাসেলের নামে কচুয়ায় ডাকাতি, চাঁদাবাজি, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে ২২টি মামলা আছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।