গোপালগঞ্জে সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে পিটুনিতে একজন নিহত

সুশান্ত মণ্ডলের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর বাড়িতে এসেছেন স্বজন ও প্রতিবেশীরা। বুধবার গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের ঘোষেরচর মধ্যপাড়া গ্রামে
ছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জে দুই পরিবারের মধ্যে জমিজমা ও বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে পিটুনিতে একজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অপর পাঁচজন। আজ বুধবার ভোরে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ওই ব্যক্তি মারা যান। এর আগে মঙ্গলবার রাতে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নে ঘোষেরচর মধ্যপাড়া গ্রামে পিটুনির ঘটনাটি ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম সুশান্ত মণ্ডল (৫৫)। তিনি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের ঘোষেরচর মধ্যপাড়া গ্রামের রমাকান্ত মণ্ডলের ছেলে। তিনি গোপালগঞ্জ শহরে একটি দোকানে দরজির কাজ করতেন। আহত পাঁচজন হলেন রাজু মণ্ডল, মলয় মণ্ডল ও তাঁর স্বী, উজ্জ্বল মণ্ডল ও রঞ্জন মণ্ডল। এর মধ্যে মলয় মণ্ডল ও তাঁর স্বী রাজু মণ্ডলের পক্ষের। আর রঞ্জন মণ্ডলের পক্ষের ছিলেন উজ্জ্বল মণ্ডল। আহত রাজু মণ্ডল এখনো গোপাল গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী হৃদয় বিশ্বাস বলেন, সুশান্ত মণ্ডল কিছুদিন আগে তাঁর জায়গায় ঘর নির্মাণ করেন। তাঁর চাচাতো ভাই রঞ্জন মণ্ডল দাবি করেন, যেখানে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে, ওই জায়গার কিছু অংশ তাঁর। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টায় দিকে রঞ্জন মণ্ডল ও তাঁর ছেলে রাজু মণ্ডলের সঙ্গে সুশান্ত মণ্ডলের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সুশান্ত তাঁর ভাতিজা রাজু মণ্ডলকে (১৮) দা দিয়ে কোপ দিলে তাঁর কান কেটে যায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রঞ্জন মণ্ডলের লোকজন এসে সুশান্তকে পিটিয়ে আহত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় সুশান্ত মণ্ডলকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে সুশান্তের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বলেন, নিহত সুশান্তের লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে। এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।