শিক্ষা বাজেটের শতকরা ২৫ ভাগ প্রাথমিক স্তরে ব্যয় করতে হবে: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

গাইবান্ধায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংলাপে বক্তব্য দেন সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। শনিবার জেলার রাধাকৃষ্ণপুর এসকেএস ইন মিলনায়তনে
ছবি: প্রথম আলো

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, শুধু সার্টিফিকেট অর্জনের জন্য শিক্ষা নয়। বাস্তবমুখী শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে হবে, যাতে শিক্ষা শেষে তরুণেরা দেশ ও জাতি গঠনে অবদান রাখতে পারে। এ জন্য শিক্ষা বাজেটের ২৫ শতাংশ প্রাথমিক স্তরে ব্যয় করতে হবে।

শনিবার দুপুরে গাইবান্ধার রাধাকৃষ্ণপুর এসকেএস ইন মিলনায়তনে ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিস্থিতি, আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক সংলাপে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এসব কথা বলেন।

সংলাপে সহযোগিতা করে সিপিডি। এতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সহায়তা এবং এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ এবং ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) সহযোগিতা করে।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নতি করতে হলে, মানবসম্পদের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। এ জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা খাতে ব্যয় বাড়াতে হবে। এই ব্যয় বাড়াতে দলমত–নির্বিশেষে আমরা সবাই একমত।’

সংলাপে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান।

উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী, সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) গাইবান্ধা জেলা সভাপতি জহুরুল কাইয়ুম, ইএসডিওর সদস্যসচিব ও প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক মুহম্মদ শহীদ উজ জামান প্রমুখ।

অতিথিরা তাঁদের বক্তব্যে বলেন, যেসব এলাকায় দারিদ্র্যের হার বেশি, সেখানে শিক্ষার হার বাড়াতে হবে। চর এলাকায় শিক্ষকদের থাকার জন্য আবাসিক ব্যবস্থা করতে হবে। স্কুলের সঙ্গে সংযোগ সড়ক থাকতে হবে। যেখানে দারিদ্র্যের হার বেশি, সেখানে উপবৃত্তির হার বেশি করতে হবে।