বাগেরহাটে আওয়ামী লীগ নেতার হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও তাঁর অনুসারীদের বিরুদ্ধে জোহর আলী খাঁ (৭০) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতার হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে তাঁর পথ আটকে মারধর করা হয়।

গুরুতর আহত অবস্থায় স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। জোহর আলী খাঁ মোরেলগঞ্জ উপজেলার হোগলাপাশা ইউনিয়নের কিসমতপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।

অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানের নাম মো. ফরিদুল ইসলাম। তিনি হোগলাপাশা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি। গত ইউপি নির্বাচনের সময় ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হওয়ায় তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

মারধরের শিকার ব্যক্তির ছেলে হোগলাপাশা ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি মো. আল আমিন খাঁ বলেন, ‘দুপুরে জুমার নামাজ শেষে বাড়িতে ফেরার পথে চেয়ারম্যানের লোকজন আমার বাবার ওপর আক্রমণ করেন। তাঁরা লোহার পাইপ ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে বাবার বাঁ হাত ও দুই পা ভেঙে রাস্তায় ফেলে যান। খবর পেয়ে আমরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।’

আল আমিনের অভিযোগ, তাঁরা আওয়ামী লীগ পরিবার হিসেবে পরিচিত। গত ইউপি নির্বাচনে দলের পক্ষে নৌকার হয়ে কাজ করেন। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন তাঁদের নানাভাবে নির্যাতন করে আসছে। একটি মামলায় চেয়ারম্যানের লোকজনের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার জেরে চেয়ারম্যান লোকজন দিয়ে তাঁর (আল আমিন) বাবার ওপর হামলা করেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে হোগলাপাশা ইউপির চেয়ারম্যান মো. ফরিদুল ইসলাম ফরিদ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সে এলাকার চিহ্নিত চোর। কিছুদিন আগে ওই এলাকায় একটি মারামারি হইছিল। আমার মেম্বার (ইউপি সদস্য) কামরুজ্জামানকে মারধর করেছিল ওই ব্যক্তিসহ কয়েকজন। এ নিয়ে নাকি একটা গন্ডগোল হয়েছে বলে শুনছি। আমি তো এলাকায় নেই। ঢাকায় এসেছি। আমার বিষয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’

মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান বলেন, মারধরের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জোহর আলীর কাছে গিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।