নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। আজ দুপুরে
ছবি: প্রথম আলো

বিএনপি–জামায়াতের যেকোনো ধরনের নাশকতা বা সহিংসতা মোকাবিলা করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। জ্বালাও–পোড়াও বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য বলে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, যারা এ ধরনের অপর্কম করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীর, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, সেলিম ওসমান, নজরুল ইসলাম ও লিয়াকত হোসেন এবং ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি নুরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, র‍্যাব-১১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা প্রমুখ।

বিএনপি–জামায়াত প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি–জামায়াত তো জ্বালাও–পোড়াও নতুন করছে না। ২০১৩-১৪ সালে দেখেছেন না, কীভাবে তারা জ্বালাও–পোড়াও করেছে, বাস পুড়িয়েছে, মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে, জীবজন্তু পর্যন্ত বাদ যায়নি। আপনারা সেই দৃশ্য দেখেছেন—এটি বিএনপি–জামায়াতের বৈশিষ্ট্য। বিএনপি–জামায়াত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারছে আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী বার্ন ইউনিট তৈরি করে তাদেরকে রক্ষা করেছেন। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ জন্য প্রস্তুত আছে। যারাই এই ধরনের অপকর্ম করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

কিশোর গ্যাং ও মাদক বৃদ্ধি প্রসঙ্গেও কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, কোভিড সংকটের সময়ে স্কুল-কলেজ সবকিছু বন্ধ ছিল। সে সময় সবকিছু স্থবির হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় কিশোর গ্যাং সমস্যা দেখা দেয়। এরা না বুঝেই অনেক অপরাধে জড়িত হয়ে যাচ্ছে। তাদের সংশোধন করার জন্য তাদের অভিভাবক ও সামাজিক নেতাদের সঙ্গে আলাপ–আলোচনা চলছে। ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।

মাদকের বিস্তার ও তৎপরতা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আমাদের দেশে মাদক তৈরি হয় না। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে মাদক আসে। আমাদের বর্ডার গার্ড, কোস্টগার্ড মাদক নির্মূলে কাজ করছে। মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আসছে, ভারত থেকে ফেনসিডিল আসার প্রবণতা অনেকখানি কমে গেছে। তাদের সঙ্গে আমাদের কথাবার্তা হচ্ছে। মিয়ানমারের সঙ্গে কথাবার্তা বললেও কোনো কাজ হচ্ছে না। আমরা এ বিষয়ে যথাসাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছি, আমাদের কোস্টগার্ড, বিজিবিকে আরও শক্তিশালী করছি।’