আসল বদলে নকল সার, মামলায় গ্রেপ্তার ১৬

বগুড়ায় বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের গুদামে আসা ২৩৮ মেট্রিক টন টিএসপি সারের চালান খালাস করা হয়নি
প্রথম আলো ফাইল ছবি

বগুড়ায় বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা) গুদামে খালাসের আগে আটকে দেওয়া ১৮ ট্রাক (৫ হাজার ৪০ বস্তায় ২৫২ মেট্রিক টন) ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) সারের মধ্যে অর্ধেকেই নকল। এসব সারের নমুনা ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার পর ২ হাজার ৫২০ বস্তা (১২৬ মেট্রিক টন) সার নকল শনাক্ত হয়েছে।

সার নকলের কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে পরিবহন ঠিকাদারসহ ১৮ জনকে আসামি করে মামলা করেছে চট্টগ্রাম টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। গতকাল শুক্রবার রাতে কারখানার ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মাজহারুল ইসলাম বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় মামলাটি করেন। তিনি অভিযোগ করেন, চট্টগ্রাম টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেড কারখানা থেকে বগুড়ায় বাফার গুদামে পরিবহনের সময় প্রায় এক কোটি টাকার আসল সার পাল্টে ট্রাকে নকল সারের চালান পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন

এ ঘটনায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের হাতে আটক ১৬ জনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁরা হলেন ঢাকার সাভারের বলিয়ারপুর এলাকার জসিম উদ্দিন (২৬) ও বাবু মিয়া (২৪), আসাদুল (২৬), সোহেল রানা (৩৫), আবদুল আউয়াল (৫০), নুর হোসেন (২৬), আবুল বাশার (২৮), সাইদুল ইসলাম (৩৪), বাদল মিয়া (২০), নগরকুন্ডা এলাকার শাকিল আহমেদ (৩২), মোহাম্মদ হানিফ (৩২), মোহাম্মদ শাকিল (৩১), তারেক (২০), মোহাম্মদ হাসান (৩২), রংপুর মিঠাপুকুরের পায়রাবধি কৃষ্ণপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম (১৮) ও মানিকগঞ্জ দৌলতপুরের শাহ আলম (৪৩)। দুজন পরিবহন ঠিকাদার চট্টগ্রাম হালিশহরের মেসার্স এমএইচআর করপোরেশনের মালিক মোয়াজ্জেম হোসেন (৬০) ও তাঁর প্রতিনিধি আবু তাহেরকে (৩১) এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম রেজা প্রথম আলোকে বলেন, মামলায় বলা হয়েছে, আসামিরা ১১ ট্রাক টিএসপি সার ট্রাক থেকে সরিয়ে নকল সার বাফার গুদামে খালাসের চেষ্টা করেন। তাঁদের কাছ থেকে ওই পরিমাণ সারের উৎপাদনমূল্যের দ্বিগুণ অর্থ বাবদ ১ কোটি ৬২ লাখ ২৪ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করা প্রয়োজন।