খালেদা জিয়ার বক্তব্য অনুকরণ ছাত্রীর, অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি ছাত্রদলের
কক্সবাজার সরকারি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় এক ছাত্রী ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’ উপস্থাপনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অনুকরণ করেছিলেন। ২৩ জানুয়ারি দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে ওই ছাত্রী তাঁর উপস্থাপনা পরিবেশন করেন। তবে বিষয়টিকে মানহানিকর ও ব্যঙ্গাত্মক দাবি করে এ ঘটনার জন্য কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগ চেয়েছে ছাত্রদল।
আজ বুধবার দুপুরে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে কলেজ অধ্যক্ষ মো. সোলাইমানের পদত্যাগ দাবি করেছেন ওই কলেজের ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান কমিটির অন্তত ১১ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছাত্রদলের কক্সবাজার সরকারি কলেজ শাখার সাবেক সভাপতি মুজিবুল হক। এ সময় বক্তব্য দেন কলেজ ছাত্রদল শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হক ও বর্তমান কমিটির আহ্বায়ক রুবেল মিয়া।
লিখিত বক্তব্যে মুজিবুল হক বলেন, কলেজের এক ছাত্রী ২৩ জানুয়ারি দুপুরে ক্যাম্পাসে ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’ প্রতিযোগিতায় বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে উদ্দেশ্যমূলক ও পরিকল্পিতভাবে ব্যঙ্গাত্মক প্রদর্শনী উপস্থাপন করেন; যার সঙ্গে কলেজ অধ্যক্ষ মো. সোলাইমান, বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা কমিটির আহ্বায়ক ও কলেজশিক্ষক আজিজুল মোস্তফা, সদস্যসচিব নিজাম উদ্দিন ফারুকীসহ ছয় শিক্ষক জড়িত ছিলেন। ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’ এর ব্যঙ্গাত্মক প্রদর্শনীটি তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন মহলে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, পরিকল্পিতভাবে ব্যঙ্গাত্মক প্রদর্শনীর মাধ্যমে কলেজ অধ্যক্ষ ও কমিটির সদস্যরা ওই ছাত্রীকে পুরস্কৃত করেন। যে কারণে ছাত্রদল নেতারা কলেজ অধ্যক্ষ মো. সোলাইমানের পদত্যাগ এবং কমিটির অপর পাঁচ সদস্য ও ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
অভিযোগ প্রসঙ্গে কলেজ অধ্যক্ষ মো. সোলাইমান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের অজান্তে ওই ছাত্রী ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’ ইভেন্টে বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে উপস্থাপন করেন, যা সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অধ্যক্ষ আরও বলেন, মূলত ওই দিন এক ছাত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চরিত্রে অভিনয়ের চেষ্টা করেন। বাচনভঙ্গির অপরিপক্বতার ফলে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। যার ফলে ক্রীড়া কমিটিসহ ইভেন্ট বিচারকেরা তাৎক্ষণিকভাবে ওই ছাত্রীকে অযোগ্য ঘোষণা করেন। তা ছাড়া অনুষ্ঠানস্থলে ঘটনার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করে। পরবর্তী সময়ে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে ছাত্রদল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ অন্যান্য ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীদের সামনে ওই ছাত্রী নিজের অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনাও করেন। ঘটনাটি সেখানে মীমাংসা হয়ে যায়। এরপরও ছাত্রদলের নেতাদের তাঁর পদত্যাগ দাবি করা অযৌক্তিক।