ঘাটাইলে নৌকার সমর্থকদের ওপর হামলা ও মারপিটের অভিযোগ

টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামরুল হাসান খান সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন। মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবেছবি: প্রথম আলো

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার সমর্থকদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের মারপিট ও বাড়িঘরে হামলার অভিযোগ উঠেছে। টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামরুল হাসান খান মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে এ অভিযোগ করেন।

ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, হামলা ও হুমকিতে অনেক নেতা–কর্মীকে ঘাটাইল ছাড়তে হয়েছে। শুধু নৌকা প্রতীকের নির্বাচন করার কারণে নেতা-কর্মীরা এ সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছেন।

সংবাদ সম্মেলনে কামরুল হাসান খান বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল প্রতীক) আমানুর রহমান খান রানা বিজয়ী হন। পরে তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের ওপর হামলা, মারধর, দোকানপাট ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। সোমবার রাত পর্যন্ত আমাদের শতাধিক নেতা–কর্মীকে মারধর করে আহত করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তারা রামদা দিয়ে আনন্দমিছিল করেছে। নিরন্তর আমাদের নেতা–কর্মীদের ভয়ভীতির মধ্যে রেখেছে। নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণে অনেক নেতা–কর্মী বাড়িছাড়া। তাঁরা পার্শ্ববর্তী উপজেলা মধুপুর, গোপালপুর, ভালুকা, সখীপুর, ধনবাড়ী ও ঢাকায় প্রাণ বাঁচানোর জন্য অবস্থান নিয়েছেন।’

কামরুল হাসান খান আরও বলেন, সহিংসতার সংবাদে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ত্বরিত ব্যবস্থা নিয়েছে। পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাবসহ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপর রয়েছে। নির্বাচন–পরবর্তী সহিংসতার জন্য দায়ী সন্ত্রাসী অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন ইউনিয়নে অর্ধশতাধিক হামলা, মারধর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার তালিকা দেন কামরুল হাসান খান।

সংবাদ সম্মেলনে লক্ষীন্দর ইউনিয়ন পরিষদের মনতলা গ্রামের রহিমা বেগম বলেন, নির্বাচন শেষ হওয়ার পরই তাঁর বাড়িতে আমানুরের সমর্থকেরা হামলা চালিয়েছেন। তাঁকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেছেন। তাঁর স্বামীর টেইলার্সের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ওই ইউপির সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য আয়শা বেগম বলেন, তাঁকে এলাকা ছেড়ে যাওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম; সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম মিয়া; সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র শহিদুজ্জামান খান ও ফারুক হোসেন; যুগ্ম সম্পাদক ও সাগরদিঘী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান হেকমত সিকদার, জামুরিয়া ইউপির চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।