জাহাঙ্গীরনগরে ভর্তি পরীক্ষায় চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করায় এক শিক্ষার্থীর কারাদণ্ড

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ফাইল ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের এ ইউনিটের (গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করার অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে সাত দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

একই সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীর এ ইউনিটের পরীক্ষার উত্তরপত্র, এর আগে অনুষ্ঠিত জীববিজ্ঞান অনুষদের ডি ইউনিটের উত্তরপত্রসহ রোল নম্বর বাতিল করা হয়েছে।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী মো. মাহমুদুল্লাহ হাসান নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার বাসিন্দা।

আজ সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শেষে সাভারের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এসি–ল্যান্ড) আবদুল্লাহ আল আমিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আটক শিক্ষার্থীকে এ শাস্তি দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল দলের সদস্যদের সূত্রে জানা গেছে, আজ পরীক্ষা চলাকালে মুঠোফোনে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে চ্যাটজিপিটি (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) ব্যবহার করে উত্তর বের করার সময় কক্ষের দায়িত্বরত পরিদর্শক ওই শিক্ষার্থীকে হাতেনাতে ধরেন। এরপর তাঁকে প্রক্টরিয়াল দলের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে প্রক্টর অফিসে নেওয়া হয়।

সেখানে ওই শিক্ষার্থী প্রক্টর এ কে এম রাশিদুল আলমের কাছে আজকের পরীক্ষা ও এর আগে অনুষ্ঠিত জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ডি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের কথা স্বীকার করেন। এ সময় তাঁর ফোনের গুগল হিস্ট্রিতে বিষয়টির প্রমাণও পাওয়া যায়।

এরপর প্রক্টর অফিসের সভাকক্ষে সাভার উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আল আমিনের পরিচালনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। সেখানে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে সাত দিনের কারাদণ্ড, উত্তরপত্রসহ রোল নম্বর বাতিল করা হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ ঘটনার বিচার করেছেন। ওই শিক্ষার্থীর ডি আর এ ইউনিটের উত্তরপত্র বাতিল করা হবে এবং তাঁকে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।