পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল শ্রমিকের
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন একটি ভবনের ছাদে কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মো. সফিকুল ইসলাম (৪০) নামের এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ক্যাম্পাসের খামারবাড়ি এলাকায় ক্লাইমেট স্মার্ট অ্যাগ্রিকালচার ভবনে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পাঁচজন শ্রমিক আহত হয়েছেন।
আহত পাঁচ শ্রমিক হলেন মনির হোসেন (২৭), ইমরান হোসেন (২৫), শফিকুর রহমান (৩৮), নজরুল ইসলাম (২৫) ও সিরাজুল ইসলাম (২৭)। তাঁদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল রাতে নির্মাণাধীন ক্লাইমেট স্মার্ট অ্যাগ্রিকালচার ভবনের ছাদে কয়েকজন শ্রমিক কাজ করছিলেন। ওই ভবনের ৫ ফুট দূরত্বে ছিল ১১ হাজার ভোল্টেজের বিদ্যুতের তার। শ্রমিকদের কাজে ব্যবহৃত লোহার রড অসাবধানতাবশত ওই তার স্পর্শ করলে ভবনের একাংশ বিদ্যুতায়িত হয়ে যায়। এতে সেখানে কর্মরত ছয় শ্রমিক আহত হন। তৎক্ষণাৎ আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার ও পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে বরিশাল নেওয়ার পথেই সফিকুলের মৃত্যু হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের দায়িত্বরত চিকিৎসক এ টি এম নাসির উদ্দিন বলেন, আহত শ্রমিকদের শরীরের বিভিন্ন স্থান দগ্ধ হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত তাঁদের বরিশাল শের–ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সন্তোষ কুমার বসু গতকাল রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির আরও সচেতন ও সতর্কতার সঙ্গে কাজ করা উচিত ছিল। এ ধরনের ঘটনা কাম্য নয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি করা হবে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।
মেসার্স জামাল বিল্ডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওই ভবন নির্মাণের কাজ পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী কামরুজ্জামান সোহাগ বলেন, ‘এটা একটা অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা। তবে আমরা সাধ্যমতো প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নিহত শ্রমিকের পরিবারের পাশে আছি। এ ছাড়া আহত শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুস সালাম বলেন, নিহত শ্রমিকের লাশ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।