বাকড়ী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯০ বছর পূর্তিতে শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা
শীতের সকালে কুয়াশার চাদর ভেদ করে সূর্য উঠেছে একটু দেরিতে। এর মধ্যে সকালের নরম রোদ মেখে বাকড়ী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জড়ো হচ্ছিলেন সাবেক শিক্ষার্থীরা। গতকাল শুক্রবার সকালে সাবেক ও বর্তমান মিলিয়ে প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থীর মিলনমেলা বসে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার এই বিদ্যালয়ে। গতকাল সকাল ১০টার দিকে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দুই দিনের আয়োজনের সূচনা করা হয়।
গতকাল আয়োজনের শুরুর দিকে বিদ্যালয় মাঠ থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে অংশ নেন বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। শোভাযাত্রাটি বাকড়ী গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার মাঠে গিয়ে শেষ হয়। এরপর স্মৃতিবিজড়িত বিদ্যালয় চত্বরে ফিরে এসে আনন্দ, ভালোবাসায় একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন তাঁরা। স্মৃতিচারণার পর শুরু হয় আলোচনা সভা।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা খুলনা অঞ্চলের সাবেক উপপরিচালক নিভা রানী পাঠক। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোরের চেয়ারম্যান মোসাম্মাৎ আসমা বেগম। সভায় বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডা. বিধান চন্দ্র গোস্বামী, অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম নীহার হালদার, মৃত্তিকা গবেষক শচীন্দ্রনাথ বিশ্বাস, স্বাস্থ্য বিভাগের সাবেক পরিচালক ডা. সঞ্জয় পাঠক, শহীদ মসিয়ূর রহমান ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক বিপ্লব সেন, বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার মল্লিক, বর্তমান প্রধান শিক্ষক পীযূষ কান্তি বিশ্বাস প্রমুখ।
আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে শেষ হয় উৎসবের প্রথম দিনের প্রথম পর্ব। বিকেল পাঁচটায় শুরু হয় উৎসবের প্রথম দিনের দ্বিতীয় পর্ব। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রাত আটটা পর্যন্ত চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আজ শনিবার বেলা ১১টায় দ্বিতীয় দিনের প্রথম পর্ব শুরু হয়েছে। বিভিন্ন আয়োজনের পর আজ রাতে অনুষ্ঠিত হবে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় যাত্রাপালা ‘সংসার কারাগার’। এর মধ্য দিয়ে দুই দিনের আয়োজনের শেষ করা হবে।
৯০ বছর পূর্তিতে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারত থেকে এসেছেন কনা মজুমদার। তিনি বলেন, ‘অনুষ্ঠানে এসে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। তাঁদের খবর নিচ্ছি। খুব ভালো লাগছে।’