বারান্দায় গৃহবধূর রক্তাক্ত লাশ, সন্তান নিয়ে স্বামী উধাও

লাশ
প্রতীকী ছবি

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় ভাড়া বাসার বারান্দা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় সোনিয়া খাতুন (২২) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা সদরের পশ্চিম টেংরি বাবুপাড়া মহল্লার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে ঘটনার পর সন্তানসহ তাঁর স্বামী রুবেল হোসেন লাপাত্তা হয়ে গেছেন।

স্থানীয় লোকজন ও বাড়ির মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সোনিয়া ও রুবেলের বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা সদরে। গতকাল বুধবার দুপুরে চার বছরের এক সন্তান নিয়ে সোনিয়া ও তাঁর স্বামী রুবেল হোসেন ওই বাসায় ওঠেন। সোনিয়া ঈশ্বরদী ইপিজেডের একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। দোতলা বাড়ির একদিকে বাড়ির মালিক থাকেন, অন্যদিকে তাঁরা ভাড়া নিয়েছিলেন।

বাড়ির মালিক একরাম আলী বলেন, বাসায় ওঠার পর স্বামী-স্ত্রীকে মিলেমিশেই থাকতে দেখা গেছে। সকালে তিনি নিজের ইউনিট থেকে বের হয়ে ভাড়াটের দরজা খোলা দেখতে পান। বেশ কিছুক্ষণ ধরে দরজা খোলা দেখে সন্দেহ হলে ডাকাডাকি শুরু করেন। এতে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে ভেতরে ঢুকে কাউকে দেখতে পান না। বারান্দায় গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় নারীর লাশ দেখতে পান। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।

সোনিয়া খাতুনের বোন নার্গিস খাতুন বলেন, পাঁচ বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। এরপর মাঝখানে ছাড়াছাড়ি হয়েছিল। গত বছরের ডিসেম্বরে দুজন আবার বিয়ে করেন। বিয়ের পর রুবেল বেশ কিছুদিন সৌদি আরবে ছিলেন। দেশে ফেরার পর তাঁরা বাসা ভাড়া করে ঈশ্বরদীতে বসবাস শুরু করেন। তাঁর বোন বাসা ভাড়া নিয়ে স্বামীর সঙ্গে থাকবেন বলে গতকাল জানিয়েছিলেন। এরপরই আজ দুপুরে তাঁরা বোনের মৃত্যুর খবর পান।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অরবিন্দ সরকার বলেন, খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদনে নিহত গৃহবধূর শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গৃহবধূর স্বামী তাঁকে হত্যার পর সন্তান নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।