রুমায় কেএনএফ সদস্যের লাশ উদ্ধার

লাশ
প্রতীকী ছবি

বান্দরবানের রুমা উপজেলার মুয়ালপিপাড়া এলাকা থেকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বয়রাম সাং বম (২৩) নামের একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্য ও গত মঙ্গলবার গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন বলে রুমা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মনির হোসেন জানিয়েছেন।

এদিকে মুয়ালপিপাড়ার বম পরিবারগুলোর কাউকে পাওয়া না গেলেও ২০ এপ্রিল কেএনএফের ভয়ে উপজেলা সদরে পালিয়ে আসা ৫০টি মারমা পরিবার বৃহস্পতিবার আবার পাড়ায় ফিরে গেছে। মুয়ালপিপাড়ায় এখন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

মুয়ালপিপাড়ায় লাশ উদ্ধারে যাওয়া পরিদর্শক (তদন্ত) মনির হোসেন জানান, এলাকার লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে তাঁরা মুয়ালপিপাড়ায় গিয়েছিলেন। পাহাড়ের ওপরে পাড়া এবং পাড়া থেকে কিছুদূরে পাহাড়ের পাদদেশে মাটি চাপা দেওয়া একটি জায়গা পাওয়া যায়। সেখানে মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করা হয়। সম্ভবত নিহত হওয়ার পর তাঁকে মাটি চাপা দেওয়া হয়। বিকেলে থানায় এসে মা তাঁর ছেলের লাশ শনাক্ত করেন।

মনির হোসেন বলেন, তাঁর ছেলের নাম বয়রাম সাং বম। তাঁদের বাড়ি রোয়াংছড়ি উপজেলার পাইংখিয়াংপাড়ায়। এক বছর আগে বয়রাম সাং বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়েছিলেন। এর পর থেকে আর তাঁর কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা বলেন, গত মঙ্গলবার মুয়ালপিপাড়ায় দিনভর দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলি হয়। ওই ঘটনার আগে পাড়ার মারমা পরিবারগুলো উপজেলা সদরে মারমা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের ভবণে আশ্রয় নিয়েছিল। গোলাগুলির ঘটনার দিন থেকে বম পরিবারগুলো পালিয়ে গেছে। আশপাশের বাসাত্লাংপাড়া, আর্থাপাড়া, হ্যাপিহিলপাড়াসহ আরও অনেক পাড়ার বম বাসিন্দারা পালিয়ে রয়েছেন। তাঁদের নিজ নিজ পাড়ার বাড়িঘরে ফেরানোর জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। উপজেলা সদরে এসে আশ্রয় নেওয়া ৫০টি মারমা পরিবারও মুয়ালপিপাড়ায় চলে গেছে।

রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুল হক বলেন, মুয়ালপিপাড়ায় কোনো বম পরিবারকে পাওয়া যায়নি। তবে আশপাশের মারমা ও ত্রিপুরা পাড়াগুলোর বাসিন্দাদের স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে দেখা গেছে। তাঁরা যে যাঁর মতো কাজকর্ম করছেন।