মাদারীপুরে ইফতার করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় দুই কলেজছাত্র আহত

আহত দুই কলেজছাত্রকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার রাতে তোলা
ছবি: প্রথম আলো

মাদারীপুরে বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় দুই কলেজছাত্র আহত হয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যায় রাজৈর উপজেলার বদরপাশা ইউনিয়নের নয়াবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত দুজনকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত দুই কলেজছাত্র হলেন সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া এলাকার জাকির মাতুব্বরের ছেলে সৌরভ মাতুব্বর (১৮) ও শাহাবুদ্দিন শেখের ছেলে নাঈম শেখ (১৮)। তাঁরা দুজন মস্তফাপুর বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার বিকেলে সৌরভ ও তাঁর কয়েকজন বন্ধু পার্শ্ববর্তী বদরপাশা ইউনিয়নের নয়াবাড়ি এলাকায় ঘুরতে যান। ইফতারের সময় হলে তাঁরা ওই এলাকার একটি খোলা মাঠে ইফতারসামগ্রী নিয়ে বসেন। এ সময় ওই এলাকার বাসিন্দা সিফাত ব্যাপারীসহ (১৮) কয়েকজন তাঁদের মাঠ ছেড়ে চলে যেতে বলেন। সৌরভ ও তাঁর বন্ধুরা ইফতার শেষ করে মাঠ ছাড়ার কথা বলেন। এ সময় কথা–কাটাকাটির জেরে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে সিফাত ব্যাপারী ও তাঁর সহযোগীরা সৌরভের ওপর হামলা চালান। এতে আহত হন সৌরভ ও নাঈম। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসেন। আহত দুজনকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা ফয়জুর রহমান বলেন, সৌরভের মাথায় ও হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। নাঈমের ঘাড়ে ছোট আঘাত। সৌরভ শঙ্কামুক্ত নন। দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।

হাসপাতালে আহত সৌরভ মাতুব্বর বলেন, ‘আমরা রোজা ছিলাম। একটু ভিন্ন পরিবেশে ইফতার করতে চেয়েছিলাম। তাই বন্ধুরা মিলে নয়াবাড়ি এলাকার খোলা মাঠে যাই। সেখানে ইউপি নির্বাচনে পূর্বশত্রুতার জেরে সিফাত তাঁর গ্যাং নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়।’

সৌরভের মামাতো ভাই রাকিব খান বলেন, সিফাতের চাচা মনিরুজ্জামান নান্নু কুনিয়া ইউনিয়নে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন। বিজয়ী চেয়ারম্যান অমিত হোসেনের ভাতিজা হলেন সৌরভ। নির্বাচনের পূর্বশত্রুতা থেকে সিফাত এ হামলা চালিয়েছেন।
এ বিষয়ে সিফাত ব্যাপারী বলেন, ‘আমার সঙ্গে সৌরভের হাতাহাতি হয়েছে। মারামারি হয়নি। আমার কোনো লোকজন সৌরভ ও তাঁর বন্ধুদের কোপায়নি।’

রাজৈর থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, বদরপাশা এলাকায় কিশোরদের দুটি পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। তবে ঘটনা বড় নয়। একটি পক্ষ সদর থানার কুনিয়া এলাকার। তারা অন্য এলাকায় আসায় মূলত সমস্যা সৃষ্টি করে বদরপাশা এলাকার কিশোররা। আহতরা থানায় কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।