মুন্সিগঞ্জে সাংবাদিককে পিটিয়ে জখম, প্রতিবাদে থানার সামনে অবস্থান কর্মসূচি

হামলায় আহত সাংবাদিক মো. জসিম উদ্দিনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আজ সোমবার দুপুরে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেছবি: সংগৃহীত

পূর্ববিরোধের জেরে দৈনিক যুগান্তর ও যমুনা টিভির মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা নেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে দুপুরে স্থানীয় সাংবাদিকেরা গজারিয়া থানার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

আহত সাংবাদিক জসিম উদ্দিন গজারিয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি। তিনি বলেন, পুরান বাউশিয়া গ্রামের চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও আদম ব্যাপারী আমিনুর রহমান হারুন শিকদার তাঁর বাড়িতে মাদকের আসর বসাতেন। জনস্বার্থে এই তথ্য তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়েছিলেন। এতেই হারুন শিকদার তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন।

জসিম উদ্দিন আরও বলেন, ‘সম্প্রতি বাউশিয়া মোহাম্মদ আবদুল আজহার উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন হয়। এতে আমি অভিভাবক সদস্যপ্রার্থী হই। প্রার্থী না হতে আমাকে প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এসব ঘটনার জেরে আজ বেলা ১১টার দিকে ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হারুন শিকদার ও তাঁর লোকজন আমার ওপর হামলা করেন। আমাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছেন। আমি বিষয়টি মুন্সিগঞ্জ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। আমরা থানার সামনে অবস্থান নিয়েছি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত আমি বাড়ি ফিরে যাব না।’

এদিকে সাংবাদিক জসিম উদ্দিনের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি বাছির উদ্দিন, সহসভাপতি গোলজার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সুজন হায়দার, সাবেক সভাপতি মীর নাসির উদ্দিন, কাজী সাব্বির আহমেদ প্রমুখ।

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাজীব খান বলেন, খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আটকে অভিযান চালানো হচ্ছে।

এর আগে হারুন শিকদার ও তাঁর লোকজনের হামলার শিকার হয়েছেন বিজয় টিভির মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি আমিরুল ইসলাম।