পূর্বাচলে সড়কের পাশে পড়ে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষকের লাশ

মরদেহ উদ্ধার
প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ পূর্বাচল উপশহর থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার বেলা একটার দিকে উপজেলার পূর্বাচল উপশহরের ২০ নম্বর সেক্টরের একটি পরিত্যক্ত জায়গা থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্বজনেরা জানিয়েছেন, ওই শিক্ষক গতকাল মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন।

নিহত শিক্ষকের নাম আবদুল্লাহ আল মামুন (৩৫)। তিনি রাজধানীর নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিষয়ের প্রভাষক ছিলেন। তিনি ফেনীর সদর থানাধীন ফগদী এলাকার আবুল কালামের ছেলে। স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন রাজধানীর দক্ষিণখান থানার কাওলা এলাকায়।

রূপগঞ্জ থানা–পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুর ১২টার দিকে পূর্বাচল উপশহরের ২০ নম্বর সেক্টর এলাকায় একটি সড়কের পাশে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেন। পরে রূপগঞ্জ থানার পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। খবর পেয়ে স্বজনেরা এসে নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করেন।

মো. নোমান নামের আবদুল্লাহ আল মামুনের এক আত্মীয় জানান, গতকাল সকালে বাড়ি থেকে বের হন মামুন। বেলা দুইটার দিকে সর্বশেষ স্ত্রী মোর্শেদা আক্তারের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয় তাঁর। এর পর থেকে মামুনের ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। রাত পর্যন্ত তাঁকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে রাতে দক্ষিণখান থানায় নিখোঁজের বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। এরই মধ্যে তাঁর মরদেহ পাওয়া গেল।

নারায়ণগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (গ-সার্কেল) আবির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ব্যক্তির শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। তাঁর মুখে মাস্ক ছিল। এই শিক্ষকের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে নাকি হত্যাকাণ্ড, তা জানার জন্য লাশ নারায়ণগঞ্জের ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

আবদুল্লাহ আল মামুনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় বিকেল চারটা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, দক্ষিণখানের অনেকেই পূর্বাচলে বেড়াতে আসেন। এই শিক্ষক কী এখানে একা একা বেড়াতে এসেছিলেন, নাকি তাঁকে কেউ নিয়ে এসেছে, সেটা জানার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। সম্ভাব্য সবগুলো বিষয় মাথায় রেখেই তদন্তকাজ চলছে।