কুলিয়ারচরে পিকআপ ভ্যানে আগুন, গাছ ফেলে মহাসড়ক অবরোধ

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতি বাসস্ট্যান্ডে অগ্নিসংযোগ করা ভোজ্যতেলবাহী পিকআপ ভ্যান। বৃহস্পতিবার ভোরে
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ডাকা অবরোধ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন আজ বৃহস্পতিবার ভোরে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে একটি পিকআপ ভ্যানে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এ ছাড়া গাছ ফেলে ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়। পরে পুলিশ এসে সড়ক থেকে গাছ সরিয়ে নেয়।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন জানান, ভোর সাড়ে চারটার দিকে কুলিয়ারচরের ছয়সূতি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কে বিএনপির কিছু সমর্থক জড়ো হন। তাঁরা মহাসড়কের পাশ থেকে গাছ কেটে মহাসড়কে ফেলে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। কিছু সময়ের ব্যবধানে অবরোধকারীরা কিশোরগঞ্জগামী একটি পিকআপ ভ্যানে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পিকআপ ভ্যানটি ভোজ্যতেলের টিন পরিবহন করছিল। খবর পেয়ে পুলিশ এসে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আগুন নিভিয়ে ফেলে। কিছু সময়ের মধ্যে মহাসড়ক থেকে গাছ সরিয়ে নেওয়ার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

পুলিশ এসে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পিকআপ ভ্যানের আগুন নিভিয়ে ফেলে। বৃহস্পতিবার ভোরে কুলিয়ারচরের ছয়সূতি বাসস্ট্যান্ডে
ছবি: সংগৃহীত

কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, পুলিশের উপস্থিতি টের পাওয়ার পর অবরোধকারীরা মহাসড়ক থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান। এই ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

স্থানীয় লোকজন জানান, গত ৩১ অক্টোবর পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের পর কুলিয়ারচরে বিএনপি কর্মসূচি দৃশ্যমান ছিল না। আজ ভোরে মহাসড়কে গাছ ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি এবং গাড়িতে আগুন দেওয়ার মাধ্যমে বিএনপি নেতা-কর্মীরা তাঁদের অস্তিত্ব জানান দেন।

এ ব্যাপারে কথা বলতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল মিল্লাত ও সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাঁদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

গত ৩১ অক্টোবরের পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে উপজেলার ছয়সূতি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি রিফাত উল্লাহ ও একই ইউনিয়নের কৃষক দলের সভাপতি বিল্লাল মিয়া মারা যান। ১৫ পুলিশসহ আহত হন অন্তত অর্ধশত। এই ঘটনায় নিহত দুই ব্যক্তির পরিবার এখন পর্যন্ত কোনো মামলা করেনি। তবে পুলিশ তিনটি মামলা করে। তিন মামলায় মোট আসামি ৩ হাজার ৬২৭ জন। দুটি মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির উপসাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ অঞ্চল) মো. শরিফুল আলমকে। শরিফুল আলমসহ ১০ জন ইতিমধ্যে গ্রেপ্তারও হয়েছেন।