ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একই বংশের দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পূর্ববিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের বিশুতারা গ্রামের বড়বাড়ি বংশের দুই পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
নিহত দুজন হলেন বিশুতারা গ্রামের আজাদ আলী (৫৮) ও একই গ্রামের আমানত আলী (৬০)। তাঁরা একই বংশের লোক। পূর্ববিরোধের জের ধরে গত আট বছরে উভয় পক্ষের এক নারী ও এক পুরুষ খুন হয়েছেন।
পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, বিশুতারা গ্রামের আজাদ আলী ও তাঁর সৎভাই ছায়েদ আলীর মধ্যে ২০১৪ সাল থেকে বিরোধ চলে আসছে। পারিবারিক সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে এ বিরোধের সৃষ্টি। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে বড়বাড়ি বংশের লোকজন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। তাঁরা কিছুদিন পরপর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছেন। হচ্ছে মামলা–মোকদ্দমা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, আজ ভোর ছয়টার দিকে প্রতিপক্ষের লোকজন আজাদ আলীর বাড়িতে ঢুকে তাঁকে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সকাল আটটার দিকে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন দা, বল্লম, ইটপাটকেল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সরাইল-অরুয়াইল সড়কের ওপর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন আমানত আলীসহ অন্তত ১০ জন। আমানত আলীকে প্রথমে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা সদর হাসপাতালে আমানত আলী মারা যান। নিহত দুজনের মধ্যে আজাদ আলী ছিলেন ব্যবসায়ী আর আমানত আলী ছিলেন কৃষিশ্রমিক।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, দীর্ঘদিনের পূর্ববিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। লাশ দুটি জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে আছে। গ্রামে পুলিশ মোতায়েন আছে। গ্রামের পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।