গণসমাবেশে অংশ নিতে ঝালকাঠির নলছিটির ২০টি ইউনিয়নের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী গতকাল শুক্রবার রাত থেকে বরিশাল শহরের চাঁনমারি স্টেডিয়াম এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন। তাঁরা খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান ও করতালির মাধ্যমে নিজেদের উজ্জীবিত করে রেখেছেন।
আজ শনিবার বেলা দুইটায় এখান থেকে নগরের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে গণসমাবেশে তারা মিছিল নিয়ে যোগ দেবেন। এতে নেতৃত্ব দেবেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শাহাদাত হোসেন ও অন্যরা।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের দাবি, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাধা ও হুমকি উপেক্ষা করে নদীপথে ট্রলারে করে গভীর রাতে তাঁরা স্টেডিয়াম এলাকায় এসে পৌঁছেছেন।
আজ সকাল সাতটার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে স্টেডিয়াম এলাকায় জড়ো হয়েছেন। রাত তিনটার দিকে তাঁরা এখানে এসেছেন বলে জানান। এ সময় চাঁদমারি স্টেডিয়ামের সামনে পোস্ট বসিয়ে সাধারণ মানুষ ও যানবাহনকে তল্লাশি করতে দেখা গেছে। পুলিশ সদস্যরা বঙ্গবন্ধু উদ্যান ও লঞ্চঘাট এলাকায় যাওয়ার কারণ জানতে চাইছেন।
ঝালকাঠি সদরের কীর্তিপাশা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন বিএনপির প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ লাল মিয়া বলেন, ‘আমরা চিড়া-মুড়ি নিয়ে সমাবেশস্থলে হাজির হয়েছি। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।’
ভৈরবপাশা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল বাশার বলেন, ‘আমরা গভীর রাতে হেঁটে পাঁচ শ নেতা-কর্মী নিয়ে গণসমাবেশে অংশ নিতে হাজির হয়েছি। কর্মীদের জন্য দুপুরের খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।’
ঝালকাঠি সদরের কীর্তিপাশা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আনিসুজ্জামান চপল বলেন, ‘অনেক বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে আমাদের ইউনিয়ন থেকে পাঁচটি ট্রলারে করে চার শতাধিক নেতা-কর্মী এখানে উপস্থিত হয়েছেন। আমাদের এক দফা এক দাবি, খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং এই সরকারের পদত্যাগ চাই।’
নলছিটি কুশংগল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা এই সরকারকে লাল কার্ড দেখাতে তিন শ নেতা-কর্মী নিয়ে সমাবেশস্থলে হাজির হয়েছি।’
এদিকে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে গণসমাবেশে অংশ নিতে রূপাতলী ও কালিজিরা পয়েন্ট থেকে সকাল থেকেই বিএনপির নেতা-কর্মীরা আসতে শুরু করেছেন।