এক সপ্তাহ ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়, গরমে হাঁসফাঁস

চুয়াডাঙ্গায় মাঝারি দাবদাহ বয়ে চলেছে। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। ফেরি করে ক্লান্ত বাদাম বিক্রেতা লিটন আলী মুখে পানি দিয়ে স্বস্তি আনার চেষ্টা করছেন। শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় শহরের সাহিত্য পরিষদের সামনে
ছবি: প্রথম আলো

চুয়াডাঙ্গায় মাঝারি দাবদাহ বয়ে চলেছে। টানা এক সপ্তাহ ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। গরমে এখানে হাঁসফাঁস অবস্থা।

চুয়াডাঙ্গার হাটকালুগঞ্জে অবস্থিত প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার বেলা তিনটায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২ এপ্রিল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই দিন যশোরেও একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। এরপর ৩ থেকে ৮ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার জায়গাটি দখলে রেখেছে চুয়াডাঙ্গা।

এ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, ৩ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর ৪ এপ্রিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৫ এপ্রিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৬ এপ্রিল ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৭ এপ্রিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও আজ ৮ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা কর্কটক্রান্তি রেখার কাছাকাছি হওয়ায় মার্চ ও এপ্রিল মাসের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকে। সাধারণত প্রতিবছর এ মৌসুমে কালবৈশাখীর সঙ্গে বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি হয়ে থাকে। এ বছর এখন পর্যন্ত সে ধরনের পরিস্থিতি হয়নি। এ বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় মার্চে গড় তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। এপ্রিলে তাপমাত্রা আরও বেড়েছে।

এদিকে প্রচণ্ড গরমের কারণে মানুষ জরুরি কাজ না থাকলে তেমন বাইরে বের হচ্ছেন না। এর প্রভাব পড়েছে পয়লা বৈশাখ ও ঈদের বাজারে। শহরের সমবায় নিউমার্কেটের তৈরি পোশাক বিক্রেতা নিউ সম্পা গার্মেন্টসের মালিক খন্দকার শামীম বলেন, এক সপ্তাহ ধরে গরমের কারণে দিনের বেলায় তেমন ক্রেতার দেখা মিলছে না। সন্ধ্যার পর ক্রেতা কিছুটা বাড়ে।