প্রার্থিতা বাতিলের পর চাকরি থেকেও সাময়িক বরখাস্ত সালাউদ্দিন

মোহাম্মদ সালাউদ্দিনছবি-সংগৃহীত।

পেশায় স্বাস্থ্যকর্মী। সরকারি চাকরির সেই তথ্য গোপন করে তিনি হয়েছিলেন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী। তাই আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করেন। এবার একই কারণে স্বাস্থ্যকর্মীর পদ থেকেও তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

প্রার্থিতা বাতিলের পর চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া এই ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। তিনি চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড-চট্টগ্রাম নগরের আংশিক) আসন থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। নির্বাচনে লড়তে রকেট প্রতীক পেয়েছিলেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন মো. ইলিয়াস চৌধুরী স্বাক্ষরিত একটি আদেশে তাঁকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তাঁকে বরখাস্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নুর উদ্দিন।

বরখাস্তের আদেশে সিভিল সার্জন উল্লেখ করেছেন, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ডে কর্মরত ছিলেন। তিনি ১৬তম গ্রেডের কর্মচারী হলেও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি হলফনামায় নিজেকে ব্যবসায়ী উল্লেখ করে তাঁর চাকরির তথ্য গোপন করে প্রার্থী হয়েছেন। পাশাপাশি তিনি কর্মস্থলেও অনুপস্থিত রয়েছেন। তাঁকে একাধিকবার কারণ দর্শানোর নোটিশ এবং তাঁর প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হলেও তিনি কোনো জবাব দেননি। যা সরকারি বিধি অনুসারে চূড়ান্ত অসদাচরণ। তাই তাঁকে চাকরি বিধিমালা অনুসারে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এর আগে হলফনামায় সরকারি চাকরির তথ্য গোপন করায় ৩১ ডিসেম্বর মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের প্রার্থিতা বাতিল করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ওই টাকা সাত দিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের ডে-কেয়ার সেন্টারে জমা দিতে বলা হয়। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেন আদালত।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নুর উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, সালাউদ্দিন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী হয়েও নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে স্বাস্থ্য বিভাগকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলেছেন। ফলে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে সিভিল সার্জন তাঁকে বরখাস্ত করার আদেশ দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আদালতেরও একটি নির্দেশনা রয়েছে।