প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচিতে যাওয়ার জন্য ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা ওই হলের রুমে রুমে শিক্ষার্থীদের ডাকতে যান। আল-আমিন সাফায়েতকে ডাকতে গেলে তিনি কর্মসূচিতে যেতে রাজি হননি। বিষয়টি নিয়ে তাঁদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে নাজমুলসহ চার-পাঁচজন তেড়ে এলে নিজেকে রক্ষার জন্য বঁটি উঁচিয়ে ধরেন। আশপাশে থাকা শিক্ষার্থীরা পরে তাঁদের থামিয়ে দেন। পরে কর্মসূচি শেষে ছাত্রলীগের চার-পাঁচজন এসে সাফায়েতকে মারধর করেন।
]সাফায়েত হোসেনের ভাষ্য, তিনি হলের কক্ষে বেলা ১১টার দিকে রান্না করছিলেন। এ সময় তাঁকে চার-পাঁচজন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মী বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন কর্মসূচিতে যাওয়ার জন্য ডাকতে আসে। সাফায়েত বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, আমার দুই মিনিট দেরি হবে, মাছটা ভেজে আসি। পরে সেখানে আল–আমিন তেড়ে এসে বলে, “তোর জন্য এত মানুষ অপেক্ষা করবে আর তুই এখানে রান্না করবি। তোকে হলে তুলছে কে” বলে একপর্যায়ে আমার গায়ে হাত তোলে। পরে আমি না পেয়ে আমার পাশে থাকা বঁটি উঁচিয়ে ধরি। পরে আশপাশের রুমমেট এসে ফিরিয়ে দিলে তারা প্রোগ্রামে চলে যায়।’
ঘটনার পর থেকে ভয়ে আছেন সাফায়েত। তিনি এখন নিরাপত্তা চান, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর না ঘটে। মারধর করার অভিযোগ ওঠা নাজমুল হোসেন ও আল আমিন জানান, কর্মসূচি শেষে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি, যা হয়েছে প্রোগ্রামের আগেই হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘একটু আগে এ বিষয়ে জানতে পেরেছি। কর্মসূচিতে আসা নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়েছে। মারধরের বিষয়টি জানি না। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক হলের প্রাধ্যক্ষের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর বলেন, ‘একটি অভিযোগ পেয়েছি। যেহেতু হলের ঘটনা, প্রাধ্যক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। এ বিষয়ে আমরা আলোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’