ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসা নারী-শিশুসহ ৩ রোহিঙ্গা সুবর্ণচরে আটক

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে পালিয়ে আসা দুই শিশু ও এক নারীকে সুবর্ণচরে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চর তোরাব আলী এলাকা থেকে তাঁদের আটক করেন স্থানীয় লোকজন। পরে রাতে তাঁদের স্থানীয় ছনখোলা পুলিশ ক্যাম্পে হস্তান্তর করা হয়।

পুলিশ জানায়, পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা হলেন ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৮২ নম্বর ক্লাস্টারের বাসিন্দা মো. রফিকের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (২৫), তাঁর মেয়ে সমিরা বেগম (৮) ও কাইসার বেগম (১৩ মাস)। আটক রোহিঙ্গারা বর্তমানে সুবর্ণচরের চরজব্বার থানায় আছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল রাত নয়টার দিকে মনোয়ারা বেগম তাঁর দুই শিশুসন্তানকে নিয়ে চট্টগ্রাম যাওয়ার উদ্দেশ্যে দালালের মাধ্যমে ভাসানচর থেকে পালিয়ে নদীপথে সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চর তোরাব আলী গ্রামের আক্তার মিয়ারহাট এলাকায় আসেন। তাঁরা স্থানীয় নূরী মাদ্রাসার পাশের কাঠের পুল পার হওয়ার সময় পুলটি ভেঙে পানিতে পড়ে যায়।

পুল ভাঙার শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন সেখানে গিয়ে ওই নারী ও তাঁর দুই সন্তানকে উদ্ধার করেন। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন নিশ্চিত হন তাঁরা রোহিঙ্গা। পরে বিষয়টি স্থানীয় ছনখোলা পুলিশ ক্যাম্পকে জানালে পুলিশ এসে তাঁদের নিয়ে যায়। এরপর রাত সোয়া ১০টার দিকে তাঁদের চরজব্বার থানায় নেওয়া হয়।

চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবপ্রিয় দাশ প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাত নয়টার দিকে সুবর্ণচরের চর তোরাব আলী এলাকার বাসিন্দারা তাঁদের আটক করেন। তাঁরা চট্টগ্রাম যাওয়ার উদ্দেশ্যে দালালের মাধ্যমে ভাসানচর থেকে পালিয়ে এসেছিলেন। আটক রোহিঙ্গারা বর্তমানে থানায় আছেন। জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী তাঁদের পুনরায় আজ শনিবার ভাসানচর পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।