ইজতেমার জন্য মধ্যরাত থেকে গাজীপুরের তিনটি সড়কে বন্ধ থাকবে পণ্যবাহী যান চলাচল

তাবলিগ জামাতের দুপক্ষের বিরোধের কারণে এবারও বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আলাদাভাবে
ফাইল ছবি

দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমার আগামীকাল রোববার আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে আজ শনিবার মধ্যরাত থেকে গাজীপুরের তিনটি সড়কে সব পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে সড়ক ফাঁকা সাপেক্ষে মোনাজাতের আগ পর্যন্ত চলবে সাধারণ পরিবহন। অর্থাৎ যতক্ষণ সড়কে মুসল্লিরা বসে না পড়বেন বা সড়ক বন্ধ  হয়ে না যাবে, ততক্ষণ স্বাভাবিক থাকবে যাত্রীবাহী যান চলাচল।

সড়ক তিনটি হলো ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগড়া বাইপাস থেকে রাজধানীর আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত, টঙ্গী-ঘোড়াশাল আঞ্চলিক সড়কের মিরের বাজার থেকে টঙ্গীর স্টেশন রোড পর্যন্ত এবং রাজধানী ঢাকার কামারপাড়া থেকে টঙ্গীর স্টেশন রোড পর্যন্ত। আজ শনিবার রাত ১২টা থেকে গাজীপুর মহানগর ট্রাফিক পুলিশের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এ বিধিনিষেধ চলবে রোববার আখেরি মোনাজাত শেষ না হওয়া পর্যন্ত।

গাজীপুর মহানগর ট্রাফিক পুলিশের উপকমিশনার মো. আলমগীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মোনাজাতকে ঘিরে আমাদের সিদ্ধান্ত প্রথম পর্বের মতোই। তবে এবার পণ্যবাহী গাড়ি ছাড়া যতক্ষণ সম্ভব অন্যান্য যান চলাচল সচল থাকবে। এতে মানুষের ভোগান্তি কম হবে। আগামীকাল সকাল ১০টা বা ১১টার দিকে মোনাজাত হবে। এ জন্য আজ বিকেল থেকেই মুসল্লিরা আসছেন। কাল মুসল্লির সংখ্যা আরও বাড়বে। সে ক্ষেত্রে জায়গা না পেয়ে মুসল্লিরা যদি সড়কে বসে যান, তবে তৎক্ষণাৎ সব যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে। মোনাজাত শেষে মানুষের ভিড় কমতেই আবার যান চলাচল সচল হবে।’

এদিকে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমাকে ঘিরে বুধবার সকাল থেকেই মুসল্লিরা টঙ্গীর তুরাগ তীরে আসতে থাকেন। সবচেয়ে বেশি মুসল্লি আসেন বৃহস্পতিবার। বিকেলের মধ্যে ভরে যায় ইজতেমা মাঠ। এর মধ্যে শুক্রবার ইজতেমার জামাতের সঙ্গে জুমার নামাজে যোগ দিতে রাজধানী ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকা থেকে মুসল্লিরা আসেন দলে দলে। রোববার মোনাজাতকে কেন্দ্র করে মুসল্লির সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষে বিরোধের কারণে এবারও বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আলাদাভাবে। মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বিরোধী হিসেবে পরিচিত মাওলানা জুবায়ের অনুসারীরা ইজতেমা পালন করেন ১৩ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। আর শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে মাওলানা সাদ কান্ধলভী অনুসারীদের ইজতেমা। রোববার মোনাজাতের মাধ্যমে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শেষ হবে।