বোয়ালখালীতে আ.লীগের সম্মেলনের কারণে পেছাল বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা

কধুরখীল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে চলছে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে
ছবি: প্রথম আলো

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের কারণে উপজেলার কধুরখীল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা পেছানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ওই বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ, সপ্তম ও নবম শ্রেণির পরীক্ষা ছিল। তবে ওই তিন শ্রেণির পরীক্ষাগুলো পিছিয়ে ১২ ডিসেম্বর নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ বড়ুয়া। তবে উচ্চবিদ্যালয়–সংলগ্ন কধুরখীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা যথারীতি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আজ বেলা ১১টার দিকে কধুরখীল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন শুরু হয়। উপজেলার কধুরখীল ইউনিয়নের আলী আহমদ কমিশনার সড়কের একপাশে কধুরখীল উচ্চবিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়। সড়কের আরেক পাশে বিদ্যালয় মাঠ। দুটি বিদ্যালয় যৌথভাবে মাঠটি ব্যবহার করে।

কধুরখীল উচ্চবিদ্যালয়ের বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবদুস সোবহান বলেন, আজ সকাল ১০টায় ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) ও নবম শ্রেণির জীববিজ্ঞান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়া কথা ছিল। তবে আজ বিদ্যালয়ের মাঠে একটি অনুষ্ঠান আছে। সে জন্য পরীক্ষা পেছানো হতে পারে। তবে তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেন। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বিস্তারিত বলতে পারবেন।

তবে কধুরখীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্ধারিত দুই শিফটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রথম শিফট ও বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দ্বিতীয় শিফটে পরীক্ষা শুরু হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ইংরেজি পরীক্ষা ছিল। তবে সম্মেলনের বিকট শব্দের কারণে পরীক্ষা নিতে সমস্যা হয়েছে।

কধুরখীল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ফটক
ছবি: প্রথম আলো

সকালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, পরীক্ষা চলার সময় সম্মেলন চলায় শ্রেণিকক্ষের দরজা বন্ধ করে শিক্ষকেরা পরীক্ষা নিচ্ছেন।

তৃতীয় শ্রেণীর পরীক্ষার্থী অর্ণব দত্ত বলেন, ‘আজকে ইংরেজি পরীক্ষা। তবে আওয়াজের কারণে পড়া সব ভুলে গেছি।’

কধুরখীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুবর্ণা চৌধুরী বলেন, বিদ্যালয়ের পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। রুটিন পরিবর্তন করতে গেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে। তবে সম্মেলনের শব্দের কারণে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে সমস্যা হয়েছে বলে জানান তিনি।

জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম রহমান প্রথম আলোকে বলেন, পরীক্ষা পেছানোর সুযোগ নেই। যেহেতু সারা বাংলাদেশে একই বিষয়ে পরীক্ষা হচ্ছে। পরীক্ষা নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।

তবে কধুরখীল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ বড়ুয়া বলেন, সম্মেলনের মাইকের আওয়াজ হবে, শিক্ষার্থীদের সমস্যা হবে—এসব ভেবে পরীক্ষাগুলো পেছানো হয়েছে। তবে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তাঁদের নিজস্ব। তাই এ নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না বলে দাবি করেন তিনি।