মাদারীপুরে আতশবাজি ফোটানো নিয়ে সংঘর্ষে আহত ২৫

রাজৈর উপজেলায় আতশবাজি ফোটানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। গতকাল শনিবার রাতেছবি: প্রথম আলো

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় আতশবাজি ফোটানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আটজন পুলিশের সদস্য। গতকাল শনিবার রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত উপজেলার ব্যাপারীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ২ এপ্রিল বদরপাশা গ্রামের আতিয়ার আকনের ছেলে জুনায়েদ ঈদের আনন্দে বন্ধুদের সঙ্গে আতশবাজি ফোটান। এতে প্রতিবাদ করে একই গ্রামের মোয়াজ্জেম খানের ছেলে জোবায়ের খান ও তাঁর বন্ধুরা। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এর জেরে পরদিন ৩ এপ্রিল সকালে ব্যাপারীপাড়া মোড়ে জোবায়েরকে একা পেয়ে পিটিয়ে তাঁর ডান পা ভেঙে দেন জুনায়েদ ও তাঁর অনুসারীরা। পরে জোবায়েরের বড় ভাই সালমান খান অনিক বাদী হয়ে জুনায়েদকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের বিরুদ্ধে রাজৈর থানায় মামলা করেন।

গতকাল সন্ধ্যায় রাজৈর বাজারে অনিক গেলে জুনায়েদ ও তাঁর সহযোগীরা তাঁকে ধাওয়া দেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে রাতে দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে ককটেল বিস্ফোরণ ও বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে রাজৈর থানার ওসি মাসুদ খান, পরিদর্শক সঞ্জয় কুমার ঘোষসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন। তাঁদের রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

ওসি মাসুদ খান বলেন, জুনায়েদের পক্ষের নেতৃত্ব দেন উপজেলা তরুণ দলের সভাপতি গোলাম মাওলা আকন। অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেন জোবায়েরের বড় ভাই সালমান খান। সংঘর্ষে পুলিশের অন্তত আটজন সদস্য আহত হয়েছেন। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং টহল জোরদার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।