ময়মনসিংহ বিভাগে এ পর্যন্ত মানবপাচারের মামলা হয়েছে ১৬৩টি, নিষ্পত্তি মাত্র দুটির

জেলা পরিষদের ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার মিলনায়তনে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কর্মশালায় বক্তারা। আজ মঙ্গলবার সকালেছবি: প্রথম আলো

ময়মনসিংহে এ পর্যন্ত মানবপাচারের ১৬৩টি মামলা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত নিষ্পত্তি হয়েছে মাত্র দুটি মামলা। ট্রাইব্যুনাল না থাকায় এসব মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা গেছে।

আজ মঙ্গলবার জেলা পরিষদের ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার মিলনায়তনে ‘মানবপাচারের শিকার ব্যক্তির সুরক্ষা ও সহায়তায় বাংলাদেশ জাতীয় রেফারেল ব্যবস্থার কাঠামো’ শীর্ষক ময়মনসিংহ বিভাগীয় একটি কর্মশালায় এ তথ্য উঠে আসে। কর্মশালার আয়োজন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রশাসন।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বেসরকারি সংস্থা ইনসিডিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাসুদ আলী বলেন, ‘মানবপাচারের প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশিত পরিসংখ্যানের চেয়ে অনেক বেশি। তবে সামাজিক ও আইনি জটিলতার কারণে অনেক ভিকটিম মামলা করতে সাহস পান না। যদিও অন্যান্য বিভাগের তুলনায় ময়মনসিংহ বিভাগে মানব পাচারের সংখ্যা তুলনামূলক কম।’

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সাল পর্যন্ত ময়মনসিংহ জেলায় ৫২টি, জামালপুরে ১২, নেত্রকোনায় ৮৯ ও শেরপুরে ১০টি মানবপাচারের মামলা হয়েছে।

ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মো. মোখতার আহমেদ বলেন, মানবপাচারের ঘটনাগুলো কেস স্টাডি আকারে ডকুমেন্টেশন করা হলে জনসচেতনতা বাড়বে। এ ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম বলেন, ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া—এই দুটি সীমান্তবর্তী উপজেলা দিয়ে মানব পাচারের ঘটনা ঘটছে। বিজিবিকে আরও সক্রিয় হতে হবে। এসব ঘটনা প্রচার ও প্রকাশের অভাবে অনেক সময় অজানাই থেকে যায়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব মু. জসীম উদ্দিন খান বলেন, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে মানবপাচারের ভিকটিমরা অনলাইনে অভিযোগ জমা দিতে পারবেন। এতে ভুক্তভোগীদের হয়রানির শিকার হতে হবে না। অভিযোগ ফরম পূরণের পর পুলিশ, বিজিবিসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে তথ্য পেয়ে ভুক্তভোগীতে সহায়তা করবে।