রংপুরের বাপা নেতার সাক্ষাৎকার

বালু তোলা বন্ধ না করলে তিস্তা নদী ভাঙতে ভাঙতে গতিপথ বদলে যাবে

শুষ্ক মৌসুমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে তিস্তার গতিপথের পরিবর্তন হচ্ছে বলে জানিয়েছে রংপুরে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) নেতারা। রংপুরে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটি এ কথা জানায়। সার্বিক বিষয় নিয়ে প্রথম আলো কথা বলেছে বাপার রংপুর জেলার দায়িত্বরত প্রধান সংগঠক রশিদুস সুলতানের (বাবলু) সঙ্গে।

রশিদুস সুলতান
প্রশ্ন:

আপনারা বলছেন, বালু উত্তোলনের কারণে তিস্তা নদীর গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে। কিসের ভিত্তিতে আপনারা এমনটা বলছেন?

রশিদুস সুলতান: এটি আমাদের সংগঠনের নিজস্ব জরিপ। রিভার ডাটা রিসার্চ সেন্টার ও আন্তর্জাতিক নদী বিশেষজ্ঞদের সমীক্ষা মতে মাঠপর্যায়ে কাজটি আমরা করেছি, ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত। এখনো এটি চলমান।  

প্রশ্ন:

কতটি এলাকায় জরিপ করেছেন এবং এলাকাগুলো কোথায়?

রশিদুস সুলতান: নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার নদীতীরবর্তী এলাকা টেপা খড়িবাড়ি, খগা খরিবাড়ি। কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার থেতরাই ও রাজারহাট উপজেলা, লালমনিরহাটের সদর উপজেলার রাজপুর, খুনিয়াগাছ ও হরিণচড়া এলাকা এবং রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার সদর ও কোলকোন্দ ইউনিয়নের গান্নার পাড়, সিংগিমারী, গ্রোয়েন বাঁধ, তালপট্টি ও মর্ণেয়া এলাকা।

প্রশ্ন:

কোন সময় তিস্তা নদীর বালু উত্তোলন করা হয়ে থাকে? বন্ধে করণীয় কী?

রশিদুস সুলতান: প্রধানত শুষ্ক মৌসুমে বেশি বালু উত্তোলন করা হয়। এ ছাড়া চাহিদা ও পরিবহন সুবিধা থাকলে অন্য সময়েও উত্তোলন করা হয়। বালু উত্তোলন অবশ্যই বন্ধ করা দরকার। আর তা না হলে তিস্তা নদী ভাঙতে ভাঙতে গতিপথ বদলে যাবে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে হাজার হাজার পরিবার। এ জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। স্থানীয় জনগণকে সচেতন হতে হবে। গণমাধ্যমকে ভূমিকা রাখতে হবে।

প্রশ্ন:

আপনাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন?

রশিদুস সুলতান: বাপার পক্ষ থেকে রংপুর জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে তাঁর জেলাধীন যেসব স্থানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে বা হবে, তা বন্ধে কার্যকর প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। এ ছাড়া বাপা সভা–সমাবেশের মাধ্যমে বালু উত্তোলনের কুফল সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করবে।