প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধে অশ্লীল ভিডিও ছড়ানোর দায়ে সাবেক চেয়ারম্যানের কারাদণ্ড

আদালতের রায়
প্রতীকী ছবি

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ভুয়া অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার দায়ে বগুড়ার গাবতলী থানার নশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যানকে ছয় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন রাজশাহীর একটি আদালত। তাঁর নাম মো. জোবাইদুর রহমান ওরফে গামা (৫০)।

আজ বুধবার দুপুরে রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান এ রায় দেন। একই অপরাধে তাঁকে তিনটি ধারায় তিন লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৯ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত মো. জোবাইদুর রহমান বগুড়ার গাবতলী উপজেলার নশিপুর ইউনিয়নের মৃত মোকলেছুর রহমানের ছেলে।

আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বাদী জিয়াউর রহমান তালুকদার ওরফে টুলুলের (৪১) বাবা মৃত মাহফুজার রহমান তালুকদার জীবিত থাকাকালে কয়েক দফা নশিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। এরপর সেখানে চেয়ারম্যান হন জোবাইদুর রহমান। ২০২২ সালের আসন্ন ইউপি নির্বাচন সামনে রেখে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন জিয়াউর রহমান তালুকদার। এটা মেনে নিতে না পেরে জোবাইদুর রহমান তাঁর বিরুদ্ধে এলাকায় অপপ্রচার চালাতে থাকেন।

একপর্যায়ে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউটিউব থেকে একটি অশ্লীল ভিডিও নামিয়ে মুখ ঝাপসা করে ওই ভিডিওতে তাঁর নাম লিখে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন তিনি। এতে এলাকায় তাঁর ও তাঁর পরিবারের সম্মানহানি ঘটেছে।

এ ঘটনায় ২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গাবতলী থানায় একটি মামলা করেন জিয়াউর রহমান তালুকদার। মামলার রায়ে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত মো. জোবাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৩(২) ধারায় তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

আইনের ২৫(২) ধারায় দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এ ছাড়া আইনের ২৯(২) ধারায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে জোবাইদুর রহমানকে।

জানতে চাইলে আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা প্রথম আলোকে বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের তিনটি ধারায় আসামির বিরুদ্ধে আদালত রায় দিয়েছেন। এই সাজা একটার পর অন্যটা কার্যকর হবে। রায়ের সময় আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।