অনুমোদনের আগে এবং অতিরিক্ত পাহাড় কাটার কারণে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাবিপ্রবি) স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আবদুল গফুরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার রাঙামাটির কোতোয়ালি থানায় এ মামলা করেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মুমিনুল ইসলাম।
রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ সাহেদ উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রাঙামাটি পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মুমিনুল ইসলাম বলেন, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভবন নির্মাণে অনুমোদনের আগে এবং অতিরিক্ত মাটি কাটার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
রাঙামাটি আসামবস্তি সংযোগ সড়কের ঝগড়াবিল এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস। এখানে চলছে পাহাড় কেটে চারটি ভবনের নির্মাণকাজ। এর মধ্যে রয়েছে একটি করে প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবন এবং দুটি আবাসিক হল।
সব কটি ভবন তিনতলাবিশিষ্ট। গত ফেব্রুয়ারিতে ভবনগুলোর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ১৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন উপাচার্য মো. আতিয়ার রহমান।
গত ২৫ নভেম্বর প্রথম আলোর প্রথম পাতায় ‘রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: ভবন নির্মাণের জন্য চলছে পাহাড় কাটা’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদন প্রকাশের পর উচ্চ আদালতে রিট করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। রিট শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজি এবং বিচারপতি রাজি উদ্দিন আহমেদের আদালত গত বুধবার শুনানি শেষে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাঙামাটিতে কেউ যাতে পাহাড় কাটতে না পারে, সে জন্য মনিটরিং কমিটি গঠনের নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিয়ে তিন মাসের মধ্যে আদালত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালকসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।